ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনাপোলে মরদেহ উদ্ধার, দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

মনির হোসেন, বেনাপোল

বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে দু’জনের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৯নভেম্বর নিহতের স্ত্রী শিল্পী খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, ছোট আঁচড়া গ্রামের খলিলের ছেলে আলী ও মৃত কাওছার আলীর ছেলে আক্তার মাহমুদ বাবলু। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তার প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামি আক্তার মাহমুদ বাবলু ঘের ব্যবসায়ী। ওহিদুল ইসলামের সাথে বাবলুর ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি তার ঘের দেখাশোনা করতেন। বেশ কিছুদিন আগে ওহিদুলকে মাছ চুরির অপবাদ দেন বাবলু। অপবাদের কারণে ওহিদুল ঘেরে যাওয়া বন্ধ করে বাবলুর সাথে মেলামেশা বাদ দেন।

গত ১০ অক্টোবর সকালে ওহিদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান বাবলু। এরপর তিনি বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে উদ্ধারে ব্যর্থ হন স্বজনেরা। এ ঘটনার পরেরদিন বেনাপোল পোর্ট থানায় জিডি করেন তারা। এদিন দুপুরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বাবলুর ঘের থেকে ওহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ওহিদুলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও পুলিশ হত্যা মামলা রেকর্ড করেনি। আসামিরা পূর্বপরিকল্পতিভাবে ওহিদুলকে কৌশলে বাড়ি থেকে ঘেরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর ইট বেঁধে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেনাপোলে মরদেহ উদ্ধার, দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আপডেট সময় : ০৬:০৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

মনির হোসেন, বেনাপোল

বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে দু’জনের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৯নভেম্বর নিহতের স্ত্রী শিল্পী খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, ছোট আঁচড়া গ্রামের খলিলের ছেলে আলী ও মৃত কাওছার আলীর ছেলে আক্তার মাহমুদ বাবলু। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তার প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামি আক্তার মাহমুদ বাবলু ঘের ব্যবসায়ী। ওহিদুল ইসলামের সাথে বাবলুর ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি তার ঘের দেখাশোনা করতেন। বেশ কিছুদিন আগে ওহিদুলকে মাছ চুরির অপবাদ দেন বাবলু। অপবাদের কারণে ওহিদুল ঘেরে যাওয়া বন্ধ করে বাবলুর সাথে মেলামেশা বাদ দেন।

গত ১০ অক্টোবর সকালে ওহিদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান বাবলু। এরপর তিনি বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে উদ্ধারে ব্যর্থ হন স্বজনেরা। এ ঘটনার পরেরদিন বেনাপোল পোর্ট থানায় জিডি করেন তারা। এদিন দুপুরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বাবলুর ঘের থেকে ওহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ওহিদুলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও পুলিশ হত্যা মামলা রেকর্ড করেনি। আসামিরা পূর্বপরিকল্পতিভাবে ওহিদুলকে কৌশলে বাড়ি থেকে ঘেরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর ইট বেঁধে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়।