ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর হত্যা মামলায় মোদীকে দায়ী করল কানাডার সংবাদমাধ্যম

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক

প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর হত্যা মামলায় মোদীকে দায়ী কানাডার করল কানা়ডার সংবাদমাধ্যম। সম্প্রতি কানাডার (India Canada row) রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত বিষয় আলোচনায় এসেছে, যেখানে কানাডার মন্ত্রী সরাসরি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত (Amit Shah) শাহের দিকে আঙুল তোলেন। এর পর কানাডার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, খলিস্তানি জঙ্গিদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) জানতেন। এই অভিযোগের ফলে ভারত-কানাডা (India Canada row) সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে, এবং দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।

লাওসে রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর, সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা দুপক্ষের

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের সূত্র উল্লেখ করে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, কানাডার ভূখণ্ডে খলিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা সম্পর্কে মোদী সরকার অবগত ছিল। খলিস্তানি আন্দোলনকে কানাডা একটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখে, কারণ সেখানে বিশাল এক খলিস্তানি সম্প্রদায় বসবাস করছে। এই সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক কখনও সহজ ছিল না, এবং তারা অনেক সময় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।

কানাডার সরকার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সতর্কতা অবলম্বন করছে, কারণ এই ধরনের বিষয় দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তারা জানাচ্ছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং এর প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কের উপর পড়তে পারে।

দিল্লির তরফ থেকে এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারত সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চালিত। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।”

ভারতের সরকার মনে করছে, এই অভিযোগগুলি ভারত-কানাডা সম্পর্ককে আরও জটিল করতে পারে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, “এই ধরনের তথ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রচার করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা চলছে।”

এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন মোদীর নাম এই ঘটনায় যুক্ত হল? কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মাধ্যমে সরকারী সূত্রে মোদীর নাম উঠে আসা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার সরকার খলিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন, এবং ভারতীয় সরকার এই বিষয়ে কোনো আপোষ করতে রাজি নয়।

এছাড়া, ভারত সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মহলে কিভাবে দেখা হচ্ছে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশেষ করে যখন কানাডার মতো দেশে খলিস্তানি আন্দোলন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তখন এটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

দীর্ঘ বিতর্ক এবং অভিযোগের মধ্য দিয়ে, কানাডার সংবাদমাধ্যম স্বীকার করেছে যে মোদীর সরাসরি যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ তাদের হাতে নেই। এ বিষয়টি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক, কারণ যে কোনো দেশের সরকার তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।

কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টিকে গম্ভীরভাবে নিচ্ছে, এবং তারা জানিয়েছেন যে তাদের তদন্তের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। গোয়েন্দাদের তদন্তের ফলাফল কিভাবে প্রকাশিত হয়, তা আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

এই ঘটনা ভারত-কানাডা সম্পর্কের ভবিষ্যৎকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে, তবে এই ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। ভারত সরকার ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে প্রস্তুত, তবে এটি দুই দেশের নিরাপত্তা এবং সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে।

অন্যদিকে, কানাডার সরকারও জানাচ্ছে যে তারা খলিস্তানি আন্দোলনকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর হত্যা মামলায় মোদীকে দায়ী করল কানাডার সংবাদমাধ্যম

আপডেট সময় : ১২:২৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক

প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর হত্যা মামলায় মোদীকে দায়ী কানাডার করল কানা়ডার সংবাদমাধ্যম। সম্প্রতি কানাডার (India Canada row) রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত বিষয় আলোচনায় এসেছে, যেখানে কানাডার মন্ত্রী সরাসরি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত (Amit Shah) শাহের দিকে আঙুল তোলেন। এর পর কানাডার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, খলিস্তানি জঙ্গিদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) জানতেন। এই অভিযোগের ফলে ভারত-কানাডা (India Canada row) সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে, এবং দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।

লাওসে রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর, সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা দুপক্ষের

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের সূত্র উল্লেখ করে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, কানাডার ভূখণ্ডে খলিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা সম্পর্কে মোদী সরকার অবগত ছিল। খলিস্তানি আন্দোলনকে কানাডা একটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখে, কারণ সেখানে বিশাল এক খলিস্তানি সম্প্রদায় বসবাস করছে। এই সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক কখনও সহজ ছিল না, এবং তারা অনেক সময় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।

কানাডার সরকার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সতর্কতা অবলম্বন করছে, কারণ এই ধরনের বিষয় দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তারা জানাচ্ছে, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং এর প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কের উপর পড়তে পারে।

দিল্লির তরফ থেকে এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারত সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চালিত। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।”

ভারতের সরকার মনে করছে, এই অভিযোগগুলি ভারত-কানাডা সম্পর্ককে আরও জটিল করতে পারে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, “এই ধরনের তথ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রচার করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা চলছে।”

এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন মোদীর নাম এই ঘটনায় যুক্ত হল? কানাডার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মাধ্যমে সরকারী সূত্রে মোদীর নাম উঠে আসা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার সরকার খলিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন, এবং ভারতীয় সরকার এই বিষয়ে কোনো আপোষ করতে রাজি নয়।

এছাড়া, ভারত সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মহলে কিভাবে দেখা হচ্ছে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশেষ করে যখন কানাডার মতো দেশে খলিস্তানি আন্দোলন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তখন এটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

দীর্ঘ বিতর্ক এবং অভিযোগের মধ্য দিয়ে, কানাডার সংবাদমাধ্যম স্বীকার করেছে যে মোদীর সরাসরি যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ তাদের হাতে নেই। এ বিষয়টি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক, কারণ যে কোনো দেশের সরকার তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।

কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টিকে গম্ভীরভাবে নিচ্ছে, এবং তারা জানিয়েছেন যে তাদের তদন্তের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। গোয়েন্দাদের তদন্তের ফলাফল কিভাবে প্রকাশিত হয়, তা আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

এই ঘটনা ভারত-কানাডা সম্পর্কের ভবিষ্যৎকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে, তবে এই ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। ভারত সরকার ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে প্রস্তুত, তবে এটি দুই দেশের নিরাপত্তা এবং সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে।

অন্যদিকে, কানাডার সরকারও জানাচ্ছে যে তারা খলিস্তানি আন্দোলনকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।