ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালীচরে মাষকলাই ডাল চাষে কৃষকের মুখে হাসি

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের বালিচরে মাষকলাই ডাল চাষ করে ভালো ফলনের আশায় কিষান-কিষানির মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় অঞ্চলভিত্তিক এই ডাল চাষ করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই চাষি তাদের উৎপাদিত ডাল ঘরে তুলবেন এবং তা বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

জানা যায়, সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে চলছে ধরলা, তিস্তা, বহ্মপুত্র, দুধকুমোর, ফুলকুমোরসহ ১৬টি নদ-নদী। জেলায় রয়েছে প্রায় চার শতাধিক চর ও দ্বীপচর। চরে অনেক মানুষের বসবাস। নদীর সঙ্গে রয়েছে তাদের গভীর মিতালি। তাই চরা অঞ্চলের মানুষ মৌসুম অনুযায়ী বালিচরে নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের ব্যাপক সমাদৃত মাষকলাই ডাল চাষ করে কৃষকেরা ভালো ফলনের আশা

করছেন। গরুহারা চরের ময়না বেগম ও শকিনা বেওয়া বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বালিচরে চাষ দিয়ে বীজ ছিটিয়ে দিই। তেমন কোনো চাষাবাদ খরচ ছাড়াই তিন সারে তিন মাসের মধ্যেই ফসল কেটে ঘরে তোলা যায়। মাষকলাই ডালের মাড়াই খরচ একেবারেই নেই বললেই চলে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ ডাল উৎপাদন করা যায়। কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর হাটের ডাল বিক্রেতা মহর আলি বলেন, পুষ্টিগুণ ভালো এবং স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় মাষকলাই ডালের চাহিদা বেশি। খোলা বাজারে মাষকলাই ডাল কেজি দরে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। কুড়িগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নাহিদা আফরীন বলেন, এবার সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজারহাট উপজেলায় মোট ৪৭০ হেক্টর জমিতে মাষকলাই আবাদ করা হয়। বন্যায় ১৬৪ হেক্টর জমির মাষকলাই ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবমিলে ফলন আশানুরূপ পাওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বালীচরে মাষকলাই ডাল চাষে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের বালিচরে মাষকলাই ডাল চাষ করে ভালো ফলনের আশায় কিষান-কিষানির মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় অঞ্চলভিত্তিক এই ডাল চাষ করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই চাষি তাদের উৎপাদিত ডাল ঘরে তুলবেন এবং তা বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

জানা যায়, সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে চলছে ধরলা, তিস্তা, বহ্মপুত্র, দুধকুমোর, ফুলকুমোরসহ ১৬টি নদ-নদী। জেলায় রয়েছে প্রায় চার শতাধিক চর ও দ্বীপচর। চরে অনেক মানুষের বসবাস। নদীর সঙ্গে রয়েছে তাদের গভীর মিতালি। তাই চরা অঞ্চলের মানুষ মৌসুম অনুযায়ী বালিচরে নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের ব্যাপক সমাদৃত মাষকলাই ডাল চাষ করে কৃষকেরা ভালো ফলনের আশা

করছেন। গরুহারা চরের ময়না বেগম ও শকিনা বেওয়া বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বালিচরে চাষ দিয়ে বীজ ছিটিয়ে দিই। তেমন কোনো চাষাবাদ খরচ ছাড়াই তিন সারে তিন মাসের মধ্যেই ফসল কেটে ঘরে তোলা যায়। মাষকলাই ডালের মাড়াই খরচ একেবারেই নেই বললেই চলে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ ডাল উৎপাদন করা যায়। কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর হাটের ডাল বিক্রেতা মহর আলি বলেন, পুষ্টিগুণ ভালো এবং স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় মাষকলাই ডালের চাহিদা বেশি। খোলা বাজারে মাষকলাই ডাল কেজি দরে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। কুড়িগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নাহিদা আফরীন বলেন, এবার সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজারহাট উপজেলায় মোট ৪৭০ হেক্টর জমিতে মাষকলাই আবাদ করা হয়। বন্যায় ১৬৪ হেক্টর জমির মাষকলাই ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবমিলে ফলন আশানুরূপ পাওয়া যাবে।