ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রয়াত সাংবাদিক রিমনের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিল সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন ঋণের দায়ে ২ সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সারাদেশে আওয়াজ উঠছে বিএনপি এবার ক্ষমতায় আসবে: আমান উল্লাহ আমান দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে জিয়া পরিবারই নেতৃত্ব দেয়: ব্যারিস্টার অমি মোমেনা বেওয়ার কান্নায় সাড়া দিয়ে সহায়তায় ছুটলেন উলিপুরের ইউএনও নয়ন কুমার সাহা বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ আটক ১ বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে ত্রিশালে কুরআনখানী ও দোয়া মাহফিল কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের জোরালো দাবি

৩০ ও ১৫ টাকায় চাল, ৫৫ লাখ পরিবার পাচ্ছে সুবিধা: খাদ্য উপদেষ্টা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরের চাল এখন ওএমএসের মাধ্যমে ৩০ টাকায় এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মাত্র ১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মানসম্মত চাল নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে, আর এতে কোনো নিম্নমানের পণ্য বিতরণ করা হয় না।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা বলেন, “একসময় রেশনের চাল রান্না করলে গন্ধ বের হতো, এমনকি চালের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ মেশানো থাকত। এখন সেই পরিস্থিতির অবসান হয়েছে।”

তিনি জানান, আগামী শনিবার (১৭ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে গত বছর ৫০ লাখ পরিবারকে পাঁচ মাস ধরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল। এবার সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫ লাখ করা হয়েছে এবং সময়সীমা ছয় মাসে উন্নীত হয়েছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ—এই দুই ধাপে চাল বিতরণ করা হবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সাধারণত আমন ফসল ঘরে ওঠে বলে তখন এ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।

বর্তমানে দেশে ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে, যার মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল। আমন মৌসুমে ভালো ফলন হলে আমদানি খুব বেশি লাগবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ভূমি খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের অগ্রগতি তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “এখন নামজারি ও খতিয়ান ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রযুক্তিগত কারণে কিছু অসুবিধা হলেও তা বড় সমস্যা নয়। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধও ধীরে ধীরে কমে আসবে।”

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩০ ও ১৫ টাকায় চাল, ৫৫ লাখ পরিবার পাচ্ছে সুবিধা: খাদ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরের চাল এখন ওএমএসের মাধ্যমে ৩০ টাকায় এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মাত্র ১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মানসম্মত চাল নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে, আর এতে কোনো নিম্নমানের পণ্য বিতরণ করা হয় না।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা বলেন, “একসময় রেশনের চাল রান্না করলে গন্ধ বের হতো, এমনকি চালের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ মেশানো থাকত। এখন সেই পরিস্থিতির অবসান হয়েছে।”

তিনি জানান, আগামী শনিবার (১৭ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে গত বছর ৫০ লাখ পরিবারকে পাঁচ মাস ধরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল। এবার সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫ লাখ করা হয়েছে এবং সময়সীমা ছয় মাসে উন্নীত হয়েছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ—এই দুই ধাপে চাল বিতরণ করা হবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সাধারণত আমন ফসল ঘরে ওঠে বলে তখন এ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।

বর্তমানে দেশে ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে, যার মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল। আমন মৌসুমে ভালো ফলন হলে আমদানি খুব বেশি লাগবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ভূমি খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের অগ্রগতি তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “এখন নামজারি ও খতিয়ান ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রযুক্তিগত কারণে কিছু অসুবিধা হলেও তা বড় সমস্যা নয়। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধও ধীরে ধীরে কমে আসবে।”

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।