ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

সীমান্তের ওপারে বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে স্বৈরাচার

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রলয় ডেস্ক

সীমান্তের ওপারে বসে স্বৈরাচার নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকার ঠাকুরগাঁও ছাত্র পরিষদের ছাত্র কনভেনশন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

পতিত স্বৈরাচারদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যেটা অর্জন করেছি সেটা যেন বৃথা না যায়। কারণ, সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে। সেখানে বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিমুহূর্তে একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে সেটাকে সারাবিশ্বে দেখাতে চায় বাংলাদেশ মৌলবাদীদের দেশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতের পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনভাবে লেখা হচ্ছে যেন বাংলাদেশে এসব নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে। ঘটনা তো তা না। তাহলে কারা করছে? কেন করছে?

তিনি বলেন, আমি কথাগুলো এ জন্য বলছি, আমাদের আনন্দে থাকার অবকাশ নেই। আমাদের মাথার ওপর এখনো বিপদ আছে। স্বৈরাচার নতুন করে দেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেজন্য সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। কোনোরকম হঠকারিতা, কোনো বিশৃঙ্খলা যেন কেউ করতে না পারে সেটাকে রুখে দিতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি খুব কষ্ট পাই যখন দেখি ছেলেরা কলেজে কলেজে মারামারি করছে। যখন এত বড় বিজয়, ইতিহাস করলে তখন আমাদের দেখতে হবে সোহরাওয়ার্দী-মোল্লা কলেজ মারামারি করে রক্তাক্ত হচ্ছে এটা তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যে অসাধারণ কাজ করেছো, দানবের থেকে দেশকে রক্ষা করেছো এটা ছোট কথা নয়। আমরা এখনো কিন্তু সে ক্রান্তি পার হয়নি, এখন একটা ধাপ গেছি। ছাত্ররা যখন বুক পেতে দিয়েছি, রক্ত ঝরিয়েছি তখনই মুক্তি এসেছে। আমি বার বারই বলি আমাদের মুক্তির ভ্যানগার্ড হচ্ছে ছাত্ররা।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলনে সবার আগে ছাত্রদের নাম। তবে কতজন রিকশাচালক, শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে তাদের খবর রাখি না। আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম ছাত্রদের দেখতে। সেখানে গিয়ে দেখলাম প্রায় ৪০ শতাংশই শ্রমিক। তাদের খবর রাখাটাও আমাদের জন্য জরুরি।

তিনি বলেন, আমরা একেবাইরে জীবনের শেষ প্রান্তে, একটায় আশা ছিল যেন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারি দানবের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমি আশঙ্কায় ছিলাম বেগম খালেদা জিয়া কি দেখে যেতে পারবেন দেশমুক্ত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ তিনি দেখে যেতে পেরেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সীমান্তের ওপারে বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে স্বৈরাচার

আপডেট সময় : ০৮:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

প্রলয় ডেস্ক

সীমান্তের ওপারে বসে স্বৈরাচার নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকার ঠাকুরগাঁও ছাত্র পরিষদের ছাত্র কনভেনশন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

পতিত স্বৈরাচারদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যেটা অর্জন করেছি সেটা যেন বৃথা না যায়। কারণ, সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে। সেখানে বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিমুহূর্তে একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে সেটাকে সারাবিশ্বে দেখাতে চায় বাংলাদেশ মৌলবাদীদের দেশ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ভারতের পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনভাবে লেখা হচ্ছে যেন বাংলাদেশে এসব নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে। ঘটনা তো তা না। তাহলে কারা করছে? কেন করছে?

তিনি বলেন, আমি কথাগুলো এ জন্য বলছি, আমাদের আনন্দে থাকার অবকাশ নেই। আমাদের মাথার ওপর এখনো বিপদ আছে। স্বৈরাচার নতুন করে দেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেজন্য সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। কোনোরকম হঠকারিতা, কোনো বিশৃঙ্খলা যেন কেউ করতে না পারে সেটাকে রুখে দিতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি খুব কষ্ট পাই যখন দেখি ছেলেরা কলেজে কলেজে মারামারি করছে। যখন এত বড় বিজয়, ইতিহাস করলে তখন আমাদের দেখতে হবে সোহরাওয়ার্দী-মোল্লা কলেজ মারামারি করে রক্তাক্ত হচ্ছে এটা তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যে অসাধারণ কাজ করেছো, দানবের থেকে দেশকে রক্ষা করেছো এটা ছোট কথা নয়। আমরা এখনো কিন্তু সে ক্রান্তি পার হয়নি, এখন একটা ধাপ গেছি। ছাত্ররা যখন বুক পেতে দিয়েছি, রক্ত ঝরিয়েছি তখনই মুক্তি এসেছে। আমি বার বারই বলি আমাদের মুক্তির ভ্যানগার্ড হচ্ছে ছাত্ররা।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলনে সবার আগে ছাত্রদের নাম। তবে কতজন রিকশাচালক, শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে তাদের খবর রাখি না। আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম ছাত্রদের দেখতে। সেখানে গিয়ে দেখলাম প্রায় ৪০ শতাংশই শ্রমিক। তাদের খবর রাখাটাও আমাদের জন্য জরুরি।

তিনি বলেন, আমরা একেবাইরে জীবনের শেষ প্রান্তে, একটায় আশা ছিল যেন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারি দানবের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমি আশঙ্কায় ছিলাম বেগম খালেদা জিয়া কি দেখে যেতে পারবেন দেশমুক্ত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ তিনি দেখে যেতে পেরেছেন।