ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিমছড়ি সরকারি বনভূমির জায়গায় মারমেইড বিচ রিসোর্টের অবৈধ নির্মাণ অব্যাহত!

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৯৫ বার পড়া হয়েছে

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, হিমছড়ি থেকে ফিরে

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রেজুখাল সংলগ্ন রামু পেচাঁরদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি ভূমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিল, তবে অজ্ঞাত কারণে বুধবার থেকে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ড প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবিদ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ রিসোর্ট মালিক আনিসুল হক চৌধুরী (এলিয়েন সোহাগ) গত কয়েক বছরে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঝাউবীথি কেটে সৈকত দখল করেছেন এবং অবৈধভাবে কাঠের সেতু নির্মাণ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি, থার্টি ফাস্ট নাইট এবং ডিজে পার্টির আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি চলছে।

এসব কার্যক্রমের ফলে সৈকত এবং পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সৈকত দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা দায়ের করলেও এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, রিসোর্টের মালিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক রেখে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাও এসব কর্মকাণ্ডে নীরব ভূমিকা পালন করছেন, যার ফলে অবৈধ দখলদারি ঠেকানো যাচ্ছে না।

মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ যে জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে, তা মূলত সরকারের খাস ভূমি। প্রায় ৬ একর জায়গা সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত এবং গত ১৫-১৬ বছর ধরে এখানে অবৈধ দখলদারি চলে আসছে। ২০১০ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক অফিসের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রফিকুল ইসলাম রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেন এবং দখল ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রশাসন সেই সময়েও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে যে, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই ভূমি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে, এবং অনেক জায়গায় ঝাউবীথি কেটে সেখানে নাচ-গানের মঞ্চ, কফি শপ, মদের বার এবং ডিজে পার্টির জন্য বিশেষ জোন তৈরি করেছে।

এমনকি, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে সেখানে বিদেশি মদ এবং ডিজে পার্টির আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিটি টিকেটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা এবং সেখানকার বিশেষ ডিজে পার্টিতে শুধু টিকেটধারীরা অংশ নিতে পারবেন। এদিকে, বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কিছুদিন আগে অভিযানে গিয়ে কিছু অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিল, তবে সেগুলো পুনরায় নির্মিত হয়েছে। বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কিছু ঝাউবীথি কাটা ও অবকাঠামো নির্মাণের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তবে প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাউদ্দিন বলেছেন, “সরকারি জমি হোক কিংবা ব্যক্তিগত জমি, কোনো নির্মাণ কাজের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।

যেকোনো অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।” তিনি আরো বলেন, যদি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ না করা হয়, তাহলে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না করা হয়, তবে কক্সবাজারের পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে পর্যটন শিল্পের জন্যও হুমকিস্বরূপ।

২০১৭ সালে উচ্চ আদালত কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ ঘোষণা করেছিল, কিন্তু রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সে আদেশও অমান্য করেছে। এছাড়া, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতকে একটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। তবে, এই নিয়মগুলোও কার্যকর করা হচ্ছে না এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সৈকত এলাকা বর্তমানে অবৈধ দখলদারি ও পরিবেশ বিনষ্টের শিকার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরকার পতনের পর কিছুদিন জন্য মারমেইড বিচ রিসোর্টের কার্যক্রম থেমে গিয়েছিল, তবে শিগগিরই তা আবার শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, প্রশাসন যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এক সময় পুরো সৈকত এলাকা সম্পূর্ণভাবে দখল হয়ে যাবে। পরিবেশবিদরা ইতিমধ্যে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবৈধ দখলদারি বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন। এখনই সময়, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তবে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ও সৈকত এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়বে এবং দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। সরকারি জমি ও সৈকত দখলকারী শক্তিশালী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হিমছড়ি সরকারি বনভূমির জায়গায় মারমেইড বিচ রিসোর্টের অবৈধ নির্মাণ অব্যাহত!

আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, হিমছড়ি থেকে ফিরে

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রেজুখাল সংলগ্ন রামু পেচাঁরদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি ভূমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিল, তবে অজ্ঞাত কারণে বুধবার থেকে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ড প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবিদ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ রিসোর্ট মালিক আনিসুল হক চৌধুরী (এলিয়েন সোহাগ) গত কয়েক বছরে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঝাউবীথি কেটে সৈকত দখল করেছেন এবং অবৈধভাবে কাঠের সেতু নির্মাণ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি, থার্টি ফাস্ট নাইট এবং ডিজে পার্টির আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি চলছে।

এসব কার্যক্রমের ফলে সৈকত এবং পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সৈকত দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা দায়ের করলেও এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, রিসোর্টের মালিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক রেখে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাও এসব কর্মকাণ্ডে নীরব ভূমিকা পালন করছেন, যার ফলে অবৈধ দখলদারি ঠেকানো যাচ্ছে না।

মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ যে জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে, তা মূলত সরকারের খাস ভূমি। প্রায় ৬ একর জায়গা সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত এবং গত ১৫-১৬ বছর ধরে এখানে অবৈধ দখলদারি চলে আসছে। ২০১০ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক অফিসের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রফিকুল ইসলাম রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেন এবং দখল ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রশাসন সেই সময়েও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে যে, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই ভূমি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে, এবং অনেক জায়গায় ঝাউবীথি কেটে সেখানে নাচ-গানের মঞ্চ, কফি শপ, মদের বার এবং ডিজে পার্টির জন্য বিশেষ জোন তৈরি করেছে।

এমনকি, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে সেখানে বিদেশি মদ এবং ডিজে পার্টির আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিটি টিকেটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা এবং সেখানকার বিশেষ ডিজে পার্টিতে শুধু টিকেটধারীরা অংশ নিতে পারবেন। এদিকে, বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কিছুদিন আগে অভিযানে গিয়ে কিছু অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিল, তবে সেগুলো পুনরায় নির্মিত হয়েছে। বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কিছু ঝাউবীথি কাটা ও অবকাঠামো নির্মাণের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তবে প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাউদ্দিন বলেছেন, “সরকারি জমি হোক কিংবা ব্যক্তিগত জমি, কোনো নির্মাণ কাজের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।

যেকোনো অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।” তিনি আরো বলেন, যদি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ না করা হয়, তাহলে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না করা হয়, তবে কক্সবাজারের পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে পর্যটন শিল্পের জন্যও হুমকিস্বরূপ।

২০১৭ সালে উচ্চ আদালত কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ ঘোষণা করেছিল, কিন্তু রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সে আদেশও অমান্য করেছে। এছাড়া, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতকে একটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। তবে, এই নিয়মগুলোও কার্যকর করা হচ্ছে না এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সৈকত এলাকা বর্তমানে অবৈধ দখলদারি ও পরিবেশ বিনষ্টের শিকার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরকার পতনের পর কিছুদিন জন্য মারমেইড বিচ রিসোর্টের কার্যক্রম থেমে গিয়েছিল, তবে শিগগিরই তা আবার শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, প্রশাসন যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এক সময় পুরো সৈকত এলাকা সম্পূর্ণভাবে দখল হয়ে যাবে। পরিবেশবিদরা ইতিমধ্যে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবৈধ দখলদারি বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন। এখনই সময়, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তবে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ ও সৈকত এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়বে এবং দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। সরকারি জমি ও সৈকত দখলকারী শক্তিশালী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।