মেডিকেল চান্স পেয়েও পড়াশোনার অনিশ্চিতায় কাটানো মেঘলার দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

- আপডেট সময় : ০৫:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৫২ বার পড়া হয়েছে
মামুন হোসেন, পাবনা
মেডিকেল চান্স পেয়েও পড়াশোনার অনিশ্চিতায় দিন কাটানো মেঘলার দায়িত্ব নিয়েছেন পাবনার জেলা প্রশাসক। মেডিকেল চান্স পেয়েও পড়াশোনার অনিশ্চিতায় ভুগছিলেন পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের মৌ গ্রাম এলাকার দিনমজুর হাসমত মির্জা ও গৃহকর্মী মোছা. চায়না খাতুনের একমাত্র মেধাবী মেয়ে মেঘলা। এমন সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে প্রচার হলে নজরে আসে পাবনা জেলা প্রশাসকের। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মেঘলার মেডিকেল পড়াশোনার প্রাথমিক খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকার চেক হাতে তুলে দেন তিনি। এবং সেই সাথে মেডিকেল পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাসিক পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ারও ঘোষণা দেন এই জেলা প্রশাসক।
এবিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি সংবাদটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে সদর নির্বাহী অফিসার কে বলি তাকে আমার কাছে নিয়ে আসতে। পত্রিকার মাধ্যমে তার পরিবারের অসচ্ছলতার কথা জানতে পেরে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, মেঘলার বাবা দিনমজুর মা গৃহিণী, তাই তাদের পরিবারে আয় রোজগার করার মত আর কেউ নেই। তাই বিষয়টি আমাদের আহত করেছে। সে বিষয়ে চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার পাঁচ বছরের পড়াশোনার খরচ আমরা বহন করব। তিনি বলেন, যেহেতু তার পরিবারের মেডিকেলে পড়াশোনা করানোর সক্ষমতা নেই। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা তার হাতে ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছি। তার পড়াশোনার প্রাথমিক যে খরচ, সেই খরচটা সে এই টাকার মধ্যে থেকে চালাবে। এবং প্রতি মাসের খরচটা আমরা তার কাছে পৌঁছে দিব। এবং পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
মেডিকেল চান্স পাওয়া মেধাবী ছাত্রী মেঘলা বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে যে সহযোগিতা করেছেন এতে করে আমি অনেকটা উপকৃত হবো। তিনি বলেন, আমি মেডিকেলে পড়াশোনা করতে পারবো এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। যেহেতু জেলা প্রশাসক স্যার আমার পড়াশোনার চালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এতে করে নিশ্চিত হলাম যে আমি মেডিকেল পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবো।