ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা

পাহাড়ের অপহরণ চক্রের নেতা বদরুজ গ্রেফতার

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

কক্সবাজারে টেকনাফের কুখ্যাত অপহরণ চক্রের নেতা বদরুদ্দোজা ওরফে বদরুজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

পুলিশ জানিয়েছে, বদরুদ্দোজা ওরফে বদরুজের কাছ থেকে একটি বন্দুক, দুটি ওয়ান শুটার গান, তিনটি তাজা কার্তুজ, দুটি কিরিচ, একটি রামদা এবং একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে বাহারছড়া ও হোয়াইক্যং এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতি ও অপহরণচক্র পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি তার নেতৃত্বে হোয়াইক্যং থেকে ১১ জন কৃষক এবং বাহারছড়া থেকে ডা. জহির অপহরণের শিকার হন। মুক্তিপণ আদায়ের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বদরুজ খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাকে ধরতে সময় লেগেছে। জিজ্ঞাসাবাদে বদরুজ স্বীকার করে, অপহরণ কাজে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র মজুত রাখা হতো ডাকাত জলিলের বাড়ির লাকড়ির স্তূপের নিচে। সেখান থেকে অস্ত্র বের করে দলের সদস্যদের দিয়ে অপহরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতো তারা। গ্রেফতারের পর পুলিশ বাহারছড়ার ওই লাকড়ির স্তূপ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।’

গ্রেফতার বদরুজের বিরুদ্ধে সাতটি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। নতুন করে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ‘অপরাধ দমনে পুলিশের এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। জনগণের সহযোগিতায় আমরা এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।’

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাহাড়ের অপহরণ চক্রের নেতা বদরুজ গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৬:০১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

কক্সবাজারে টেকনাফের কুখ্যাত অপহরণ চক্রের নেতা বদরুদ্দোজা ওরফে বদরুজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

পুলিশ জানিয়েছে, বদরুদ্দোজা ওরফে বদরুজের কাছ থেকে একটি বন্দুক, দুটি ওয়ান শুটার গান, তিনটি তাজা কার্তুজ, দুটি কিরিচ, একটি রামদা এবং একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে বাহারছড়া ও হোয়াইক্যং এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতি ও অপহরণচক্র পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি তার নেতৃত্বে হোয়াইক্যং থেকে ১১ জন কৃষক এবং বাহারছড়া থেকে ডা. জহির অপহরণের শিকার হন। মুক্তিপণ আদায়ের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বদরুজ খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাকে ধরতে সময় লেগেছে। জিজ্ঞাসাবাদে বদরুজ স্বীকার করে, অপহরণ কাজে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র মজুত রাখা হতো ডাকাত জলিলের বাড়ির লাকড়ির স্তূপের নিচে। সেখান থেকে অস্ত্র বের করে দলের সদস্যদের দিয়ে অপহরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতো তারা। গ্রেফতারের পর পুলিশ বাহারছড়ার ওই লাকড়ির স্তূপ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।’

গ্রেফতার বদরুজের বিরুদ্ধে সাতটি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। নতুন করে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ‘অপরাধ দমনে পুলিশের এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। জনগণের সহযোগিতায় আমরা এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।’

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।