সিডরের ১৭ বছর পার হলেও মঠবাড়িয়ায় বিধ্বস্ত সেতুর সংস্কার হয়নি

- আপডেট সময় : ০৫:২১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১০২ বার পড়া হয়েছে
রুম্মান হাওলাদার, মঠবাড়িয়া
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সিডরের ১৭ বছর পার হলেও বিধ্বস্ত সেতুর সংস্কার হয়নি। সেতুটি উপজেলার গোলবুনিয়া ও জানখালী গ্রামের সীমান্তবর্তী সাংরাইল খালের ওপর দুই যুগ আগে নির্মিত হয়। বর্তমানে সংযোগ সেতুটির বেহাল অবস্থা। অথচ সংস্কারের অভাবে সেতুটি এখন চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। শুধু দাড়িয়ে আছে সেতুর কঙ্কাল। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে কঙ্কাল সেতু। লোহার সেতুর পাটাতনের স্ল্যাবগুলো এক যুগ আগে ভেঙে গেলেও দেখার কেউ নেই।
লোহার কঙ্কাল বিমের ওপর সুপারিগাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হচ্ছেন ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এ যেন সেতু নয়, সেতুর কঙ্কাল এখন মরণফাঁদ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর আগে সাংরাইল খালের ওপর লোহার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালের নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ পড়ে সেতুটির পাটাতন ¶তিগ্রস্থ হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে পাটাতনের রড ও সিমেন্টের তৈরি স্ল্যাবগুলো ভেঙে যেতে থাকে। ১৭ বছর আগে সেতুটির স্ল্যাবগুলো ভেঙে যাওয়ায় সুপারিগাছ বিমের ওপর দেওয়া হয়। মেরামত না হওয়ায় এভাবেই লোকজন চলাচল করে আসছে।
স্থানীয় একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীসহ সেতু দিয়ে প্রতিদিন জানখালীর উলুবাড়িয়ায় হামিদিয়া দাখিল মাদরাসা, জানখালী সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৮নং জানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ঘোপখালী, জানখালী, উলুবাড়িয়া, নিজানিয়া এবং কালিকাবাড়ি, হোগলপাতি ও গোলবুনিয়ার এই ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে সেতুটি দিয়ে। স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটি ¶তিগ্রস্থ হয়। সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। তবে কোনো ফল মেলেনি। নিরুপায় হয়ে সেতুর ওপর এক পাশে সুপারিগাছ ও বাঁশ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি।
শিশু শি¶ার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে সেতুটি পার হতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। সেতু দিয়ে পড়ে এক শিশু শি¶ার্থীর হাত ভেঙে যায় ও এক বৃদ্ধ মহিলা আহত হন। তা ছাড়া কৃষিনির্ভর এ এলাকার মানুষ কৃষিপণ্য ঘাড়ে-মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে সেতুটি উপজেলা পরিষদ নির্মাণ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়ে মঠবাড়িয়ার জরাজীর্ণ সেতু তালিকা চেয়েছে। সেগুলো আমরা পাঠিয়েছি। উপজেলা ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়কের সেতু নির্মাণ প্রকল্প ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) তালিকা পাঠানো হয়েছে। যদি অনুমোদন হয়ে তালিকায় আসে তাহলে আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হবে।