ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

শীতার্তদের পাশে ভূঞাপুরের ইউএনও

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

আমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইল

সকাল থেকে ছিল ঘন কুয়াশার দাপট, সারাদিন দেখা মিলেনি সূর্যের। এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় শীতে কাঁপছে সারাদেশ। বাদ যায়নি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গরীব-দুঃখী মানুষও। আর এমন শীতের গভীর রাতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন। এসময় নিজ হাতে ছিন্নমূল, অতিদরিদ্র মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ও যমুনা নদীর তীরবর্তী (গোবিন্দাসী নৌ ফেরিঘাট) এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) সুবিধাবঞ্চিত অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভূঞাপুর উপজেলার অনেক অসহায়, গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষগুলো। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. পপি খাতুন এর থেকে শীতবস্ত্র (কম্বল) হাতে পেয়ে ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় মানুষেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকই কম্বল পেয়ে আবেগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন যাবৎ এই এলাকায় তীব্র শীত পড়েছে। শীতে দরিদ্র মানুষদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। শীতে কোনো দুঃস্থ পরিবার যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য তাদের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি।

প্রকৃত ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে রাতের অন্ধকারে বের হয়ে দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীতার্তদের পাশে ভূঞাপুরের ইউএনও

আপডেট সময় : ০৬:০৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

আমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইল

সকাল থেকে ছিল ঘন কুয়াশার দাপট, সারাদিন দেখা মিলেনি সূর্যের। এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় শীতে কাঁপছে সারাদেশ। বাদ যায়নি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গরীব-দুঃখী মানুষও। আর এমন শীতের গভীর রাতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন। এসময় নিজ হাতে ছিন্নমূল, অতিদরিদ্র মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ও যমুনা নদীর তীরবর্তী (গোবিন্দাসী নৌ ফেরিঘাট) এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) সুবিধাবঞ্চিত অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভূঞাপুর উপজেলার অনেক অসহায়, গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষগুলো। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. পপি খাতুন এর থেকে শীতবস্ত্র (কম্বল) হাতে পেয়ে ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় মানুষেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকই কম্বল পেয়ে আবেগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন যাবৎ এই এলাকায় তীব্র শীত পড়েছে। শীতে দরিদ্র মানুষদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। শীতে কোনো দুঃস্থ পরিবার যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য তাদের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি।

প্রকৃত ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে রাতের অন্ধকারে বের হয়ে দুই শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।