ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শীতে কাহিল পটুয়াখালীর মানুষ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

হৃদয় শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌষে মাস এর ১৯ দিন দিন যেতে না যেতেই মাঘ মাস ভাব, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগে পটুয়াখালী জেলায় হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জেলাবাসীর জীবন-যাত্রা। পশু-পাখিসহ প্রাণিকুলেরও নাকাল অবস্থা। হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া-নিন্ম আয়ের মানুষের বেহালদশা। উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শুক্রবার (৩ জানুয়ারী ) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে শীতে পটুয়াখালী সহ উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ ও রিস্কা চালকরা। অসংখ্য খেটে খাওয়া হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষদের বেহালদশা। চরম দুর্ভোগে পৌছেছে তাদের জীবনযাত্রা।

মৌকরন ইউনিয়নের দিন মুজুর আলতাপ হাং (৬২) জানান আমি একজন দিন মুজুর মানুষ দিন আনি দিন খাই দুইদিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় অবস্থায় কাজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। বদরপুর ইউনিয়নের মাসুম (৩৯) বলেন আমি এক জন রিস্কা চালক দুই দিন দরে তীব্র শীতের কারণে রিস্কা চালাতে না পারার কারনে আমি না খেয়ে দিন কাটাই।

এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারনে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীত জনিত রোগে শিশু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। শিশুদের যাতে শীত না লাগে ব্যোপারে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে গ্রামে ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাকাল। হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তার অদূরে কিছুই দেখা যায় না। তাই, দূর্ঘটনা এড়াতে সড়ক, মহা-সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে অন্যদিকে শীতের কারণে জেলা ও উপজেলা গুলোতে শহরের হকারস মার্কেট এবং অভিজাত বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের ভিড়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীতে কাহিল পটুয়াখালীর মানুষ

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

হৃদয় শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌষে মাস এর ১৯ দিন দিন যেতে না যেতেই মাঘ মাস ভাব, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগে পটুয়াখালী জেলায় হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জেলাবাসীর জীবন-যাত্রা। পশু-পাখিসহ প্রাণিকুলেরও নাকাল অবস্থা। হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া-নিন্ম আয়ের মানুষের বেহালদশা। উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শুক্রবার (৩ জানুয়ারী ) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে শীতে পটুয়াখালী সহ উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ ও রিস্কা চালকরা। অসংখ্য খেটে খাওয়া হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষদের বেহালদশা। চরম দুর্ভোগে পৌছেছে তাদের জীবনযাত্রা।

মৌকরন ইউনিয়নের দিন মুজুর আলতাপ হাং (৬২) জানান আমি একজন দিন মুজুর মানুষ দিন আনি দিন খাই দুইদিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় অবস্থায় কাজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। বদরপুর ইউনিয়নের মাসুম (৩৯) বলেন আমি এক জন রিস্কা চালক দুই দিন দরে তীব্র শীতের কারণে রিস্কা চালাতে না পারার কারনে আমি না খেয়ে দিন কাটাই।

এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারনে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীত জনিত রোগে শিশু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। শিশুদের যাতে শীত না লাগে ব্যোপারে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে গ্রামে ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাকাল। হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তার অদূরে কিছুই দেখা যায় না। তাই, দূর্ঘটনা এড়াতে সড়ক, মহা-সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে অন্যদিকে শীতের কারণে জেলা ও উপজেলা গুলোতে শহরের হকারস মার্কেট এবং অভিজাত বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের ভিড়।