ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নতুন কোনও শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে প্রস্তুত হামাস

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোনো পক্ষের নতুন শর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রস্তাবের ভিত্তিতে গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে একটি তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলসহ তাদের সদস্যরা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছে।

প্রায় ১১ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের ইতি টানার বিষয়ে আলোচনা এ পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফিলাডেলফি করিডোরের নিয়ন্ত্রণ, মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্তে একটি সংকীর্ণ প্রসারিত জমিসহ বেশ কিছু বিষয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা রয়ে গেছে।

সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস গাজা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি শনিবার বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও বিশদ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আনা হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৫ হাজার ২৯ জন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মধ্য গাজায় জাতিসংঘের আল-জাউনি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় নারী ও শিশুদের দেহ টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।

নিহতদের মধ্যে ছয়জন জাতিসংঘের আনরোয়া সংস্থার কর্মী। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রায় ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধে একদিনের হামলায় সংস্থাটির সবচেয়ে বেশি কর্মী মারা যাওয়ার ঘটনা এটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন কোনও শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে প্রস্তুত হামাস

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোনো পক্ষের নতুন শর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রস্তাবের ভিত্তিতে গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে একটি তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলসহ তাদের সদস্যরা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছে।

প্রায় ১১ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের ইতি টানার বিষয়ে আলোচনা এ পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফিলাডেলফি করিডোরের নিয়ন্ত্রণ, মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্তে একটি সংকীর্ণ প্রসারিত জমিসহ বেশ কিছু বিষয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা রয়ে গেছে।

সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস গাজা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি শনিবার বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও বিশদ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আনা হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৫ হাজার ২৯ জন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মধ্য গাজায় জাতিসংঘের আল-জাউনি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় নারী ও শিশুদের দেহ টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।

নিহতদের মধ্যে ছয়জন জাতিসংঘের আনরোয়া সংস্থার কর্মী। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রায় ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধে একদিনের হামলায় সংস্থাটির সবচেয়ে বেশি কর্মী মারা যাওয়ার ঘটনা এটি।