ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে টাইগাররা

- আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭৩ বার পড়া হয়েছে
স্পোর্টস ডেস্ক
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের পরই অধিনায়ক শান্তকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস। সেই সময়ই বলা হয়েছিল, পাকিস্তান থেকে ফিরলে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেবেন তিনি।
তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ট্রফি নিয়ে মিরপুর থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে রওনা দেয় ক্রিকেটাররা। এদিন দুপুরে বিসিবিতে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে সোনালী রংয়ের ট্রফিটি দেখতেই ক্যামেরাম্যানদের জটলা বেধে যায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক ভুল করে অন্য গাড়ির দিকে আগাচ্ছিলেন। টিম বাস পেছনের দিকটায় অপেক্ষমান বুঝতে পারলেও জটলা সরিয়ে আসতে খানিকটা সময় লাগল।
পাকিস্তান সফরে ঐতিহাসিক সাফল্যের স্মারক ট্রফিটি নিয়ে মিরপুর থেকে শান্তদের গন্তব্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। ক্রিকেটাররা টিম বাসে গেলেও ব্যক্তিগত কালো রংয়ের গাড়িতে রওনা হন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে ফোন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, আমার ও সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। পুরো জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি ১০ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টেস্ট জিতেছিল ৬ উইকেটের ব্যবধানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই টাইগারদের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। আর পাকিস্তানের মাটিতে যেকোনও ফরম্যাটে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করেছিল পাকিস্তান। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেননি স্বাগতিকরা। ১৭২ রানে অলআউট হলে ১৮৫ রানের সহজ লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেই টাইগাররা।সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে সফরকারীরা। এতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে জ্যোতি-রাবেয়ারা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ১১৩ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কাগজে-কলমে ‘এ’ দলের সিরিজ হলেও আসন্ন নারী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারকে নিয়েই দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ।
তাই জাহানারা-ফাহিমাদের মতো প্রতিষ্ঠিত বোলারদের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি লঙ্কান মেয়েরা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন কৌশিনি নুথিয়াঙ্গা। শেষ পর্যন্ত নেথমি পূর্ণা ৪০ বলে ২৭ রান এবং নিলাকশানা সান্দামিনি ১৪ বলে ১৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ফাহিমা খাতুন। এছাড়া সুলতানা খাতুন এবং রিতু মনি ১টি করে উইকেট শিকার করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।