ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুয়েতে প্রচণ্ড ঠান্ডা গরম উপেক্ষা করে সবজি চাষে বাংলাদেশীদের ব্যাপক সফলতা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

বিলাল উদ্দিন, কুয়েত

মরুর বুকে সবজি চাষে বাংলাদেশীদের ব্যাপক সফলতা।কুয়েতে ৫০ ডিগ্রি গরম আর প্রচন্ড গরমের মধ্যে কাজ করে বাংলাদেশীরা। তবে ঠান্ডা মৌসুমে প্রচুর কাজ আর গরম মৌসুমে কম।

বাংলাদেশিদের হাতের ছোঁয়ায় কুয়েতের মরুর অঞ্চল ওফরা আবদালী সবুজের সমারোহে ভরপুর। টিক বাংলাদেশীদের ধৈর্য্য,মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশি-বিদেশি নানা জাতের শাক-সবজি ও ফলমূল ফলায় এখান থেকে উৎপাদিত ফসল কুয়েত সেন্ট্রাল সবজি মার্কেটে ও সুপারশপগুলোতে বিক্রি করা হয়। এ দিকে কুয়েত শিল্প এলাকা সুয়েখে সবজি চাষের পাশাপাশি নার্সারি তৈরি করে নানাজাতের ফুল ও ফলের চারা বিক্রি করছেন অনেক বাংলাদেশী বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষাবাদ করেন। কুয়েতে কৃষি কাজে যারা কাজ করে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি।’

এই দেশে কৃষিতে অন্যদেশের চেয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকের কাজের দক্ষতা ও সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশিরা যেভাবে মেধা ও পরিশ্রম করে মরুর বুকে নানা জাতের শাক-সবজি ফলমূল ফলায় তাতে মাজারার মালিক ও স্থানীয়রা সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নিলে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কূটনৈতিক চেষ্টার মাধ্যমে কৃষি খাতে কম খরচে সরকারিভাবে দেশটিতে শ্রমিক পাঠাতে পারে। তাহলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে। যা বর্তমান দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও ভূমিকা রাখবে।

মাজারায় কৃষি কাজে জড়িত এক বাংলাদেশি শ্রমিক রাসেল মিয়া বলেন,আমরা এখানে টমেটো,বেগুন,বটবটি, লাল শাক,ধনিয়া,মুলা, ফুলকপি,বাঁধাকপি, পাতা,কলমি শাক কুমড়াসহ নানা জাতের দেশি বিদেশি শাক ও সবজি ফলের চাষাবাদ করি।

তিনি বলেন,দৈনিক হিসেবে কাজ করলে তাদের ৮ দিনার থেকে ১০ দিনার হাজিরা। আমরা যারা কোম্পারি ভিসার লোক তাদের বেতন শুরু ৮০ দিনার থেকে ১৫০ দিনার পর্যন্ত। থাকা খাওয়া মালিক বহন করে। সব কিছু মিলিয়ে কোনো রকমের চলে যায় সংসার।’ শীতের মৌসুমে কুয়েতে’র বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কুয়েতিরা প্রতিসপ্তাহে পরিবার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে আসে। এছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও ঘুরে বেড়ায় এক মাজারা থেকে অন্য মাজারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়েতে প্রচণ্ড ঠান্ডা গরম উপেক্ষা করে সবজি চাষে বাংলাদেশীদের ব্যাপক সফলতা

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

বিলাল উদ্দিন, কুয়েত

মরুর বুকে সবজি চাষে বাংলাদেশীদের ব্যাপক সফলতা।কুয়েতে ৫০ ডিগ্রি গরম আর প্রচন্ড গরমের মধ্যে কাজ করে বাংলাদেশীরা। তবে ঠান্ডা মৌসুমে প্রচুর কাজ আর গরম মৌসুমে কম।

বাংলাদেশিদের হাতের ছোঁয়ায় কুয়েতের মরুর অঞ্চল ওফরা আবদালী সবুজের সমারোহে ভরপুর। টিক বাংলাদেশীদের ধৈর্য্য,মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশি-বিদেশি নানা জাতের শাক-সবজি ও ফলমূল ফলায় এখান থেকে উৎপাদিত ফসল কুয়েত সেন্ট্রাল সবজি মার্কেটে ও সুপারশপগুলোতে বিক্রি করা হয়। এ দিকে কুয়েত শিল্প এলাকা সুয়েখে সবজি চাষের পাশাপাশি নার্সারি তৈরি করে নানাজাতের ফুল ও ফলের চারা বিক্রি করছেন অনেক বাংলাদেশী বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষাবাদ করেন। কুয়েতে কৃষি কাজে যারা কাজ করে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি।’

এই দেশে কৃষিতে অন্যদেশের চেয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকের কাজের দক্ষতা ও সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশিরা যেভাবে মেধা ও পরিশ্রম করে মরুর বুকে নানা জাতের শাক-সবজি ফলমূল ফলায় তাতে মাজারার মালিক ও স্থানীয়রা সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নিলে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কূটনৈতিক চেষ্টার মাধ্যমে কৃষি খাতে কম খরচে সরকারিভাবে দেশটিতে শ্রমিক পাঠাতে পারে। তাহলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে। যা বর্তমান দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও ভূমিকা রাখবে।

মাজারায় কৃষি কাজে জড়িত এক বাংলাদেশি শ্রমিক রাসেল মিয়া বলেন,আমরা এখানে টমেটো,বেগুন,বটবটি, লাল শাক,ধনিয়া,মুলা, ফুলকপি,বাঁধাকপি, পাতা,কলমি শাক কুমড়াসহ নানা জাতের দেশি বিদেশি শাক ও সবজি ফলের চাষাবাদ করি।

তিনি বলেন,দৈনিক হিসেবে কাজ করলে তাদের ৮ দিনার থেকে ১০ দিনার হাজিরা। আমরা যারা কোম্পারি ভিসার লোক তাদের বেতন শুরু ৮০ দিনার থেকে ১৫০ দিনার পর্যন্ত। থাকা খাওয়া মালিক বহন করে। সব কিছু মিলিয়ে কোনো রকমের চলে যায় সংসার।’ শীতের মৌসুমে কুয়েতে’র বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কুয়েতিরা প্রতিসপ্তাহে পরিবার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে আসে। এছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও ঘুরে বেড়ায় এক মাজারা থেকে অন্য মাজারা।