ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সদরপুরে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ভালুকায় ইকরাম সোয়েটার্সের অভ্যন্তরে অগ্নিকাণ্ড, থানায় জিডি গফরগাঁও এ ভূমি অধিগ্রহণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার: আশফাক নিপুন জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ ঈদের আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে যা বললেন মাউশি ডিজি এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা হাসিনার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক ইজারাদারের কাছে নজরুল জন্মজয়ন্তী’র বরাদ্দ হস্তান্তর করলেন ত্রিশালের ইউএনও

কুড়িগ্রামের সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক : ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত রেখা ঘেঁষে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপরে লাগানো সিসি ক্যামেরাটি খুলে নিতে সম্মতি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি গ্রামে বাংলাদেশের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত আলমগীর হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা স্থায়ী পতাকা বৈঠকে এই সম্মতি জানায় বিএসএফ।

বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।

এরপর একই স্থানে বিজিবি’র দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ীর আয়োজনে জন সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিএসএফ অতি সঙ্গোপনে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর ৯ এস সাব পিলারের পাশে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপর সিসি ক্যামেরাটি লাগায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিনভর বিজিবি এবং বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠক হলেও সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, বিজিবির জোরালো অবস্থানের কারণে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলে ফেলার বিষয় আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকে জোড়া মসজিদ এলাকায় শূন্য লাইনে নির্মিত টিনের স্থাপনা খুলে ফেলতে এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরী না করাসহ উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদির উপর আলোচনা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

কুড়িগ্রামের সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক : ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত রেখা ঘেঁষে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপরে লাগানো সিসি ক্যামেরাটি খুলে নিতে সম্মতি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি গ্রামে বাংলাদেশের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত আলমগীর হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা স্থায়ী পতাকা বৈঠকে এই সম্মতি জানায় বিএসএফ।

বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।

এরপর একই স্থানে বিজিবি’র দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ীর আয়োজনে জন সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিএসএফ অতি সঙ্গোপনে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর ৯ এস সাব পিলারের পাশে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপর সিসি ক্যামেরাটি লাগায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিনভর বিজিবি এবং বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠক হলেও সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, বিজিবির জোরালো অবস্থানের কারণে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলে ফেলার বিষয় আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকে জোড়া মসজিদ এলাকায় শূন্য লাইনে নির্মিত টিনের স্থাপনা খুলে ফেলতে এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরী না করাসহ উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদির উপর আলোচনা হয়।