ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কুড়িগ্রামের সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক : ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত রেখা ঘেঁষে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপরে লাগানো সিসি ক্যামেরাটি খুলে নিতে সম্মতি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি গ্রামে বাংলাদেশের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত আলমগীর হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা স্থায়ী পতাকা বৈঠকে এই সম্মতি জানায় বিএসএফ।

বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।

এরপর একই স্থানে বিজিবি’র দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ীর আয়োজনে জন সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিএসএফ অতি সঙ্গোপনে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর ৯ এস সাব পিলারের পাশে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপর সিসি ক্যামেরাটি লাগায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিনভর বিজিবি এবং বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠক হলেও সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, বিজিবির জোরালো অবস্থানের কারণে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলে ফেলার বিষয় আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকে জোড়া মসজিদ এলাকায় শূন্য লাইনে নির্মিত টিনের স্থাপনা খুলে ফেলতে এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরী না করাসহ উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদির উপর আলোচনা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কুড়িগ্রামের সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক : ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত রেখা ঘেঁষে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপরে লাগানো সিসি ক্যামেরাটি খুলে নিতে সম্মতি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি গ্রামে বাংলাদেশের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত আলমগীর হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা স্থায়ী পতাকা বৈঠকে এই সম্মতি জানায় বিএসএফ।

বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।

এরপর একই স্থানে বিজিবি’র দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ীর আয়োজনে জন সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিএসএফ অতি সঙ্গোপনে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর ৯ এস সাব পিলারের পাশে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের উপর সিসি ক্যামেরাটি লাগায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিনভর বিজিবি এবং বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠক হলেও সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, বিজিবির জোরালো অবস্থানের কারণে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলে ফেলার বিষয় আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকে জোড়া মসজিদ এলাকায় শূন্য লাইনে নির্মিত টিনের স্থাপনা খুলে ফেলতে এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরী না করাসহ উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদির উপর আলোচনা হয়।