ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

ছাত্রদলের ত্যাগের বিনিময়ে জুলাই-আগস্ট প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে : ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রলয় ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এক দিনে তৈরি হয়নি। সারা বাংলাদেশের ছাত্রদলের অকুতোভয় সৈনিকদের কারণেই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। ছাত্রদলের হাজার হাজার লাখ লাখ নেতা-কর্মীর ত্যাগের বিনিময়ে জুলাই-আগস্টের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। সেই প্রক্ষাপটের ওপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ছাত্রদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন ছাত্রদল সভাপতি। ছাত্রদলের জেলা শাখার অধীন কলেজ ও মাদরাসা ইউনিট ছাত্রদলের মধ্যে সদস্য ফরম বিতরণ উপলক্ষে এই কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা ছাত্রদল।

সম্মেলনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, ‘কেউ যদি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পতাকার নিচে রাজনীতি করে এসে বলেন, আমি ছাত্রশিবির বা জামায়াতের রাজনীতি করি, তা কেউ মেনে নেবে? এ কারণে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কেউ যদি লিপ্ত থাকেন তাঁদেরকে ঘোষণা দিয়ে আপনারা প্রতিহত করবেন। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ, সাড়ে ১৫ বছরের ত্যাগ, শ্রমকে অস্বীকার করে ইতিহাস করার চেষ্টা করবে, তা হবে না।’

নারী নেতৃত্বকে ছাত্রদল অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্টের সময়ে ছাত্রলীগের অত্যাচার-নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির প্রতি বিমুখ অবস্থায় রয়েছে। ছাত্ররাজনীতির প্রতি কিছুট ঘৃণা চলে এসেছে। সাড়ে ১৫ বছরে ছাত্রলীগ মা-বোনদের ওপর নির্যাতন করেছে। ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মীর দ্বারা নারীনেত্রী বা সাধারণ ছাত্রী লাঞ্ছিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের স্টাইল অনুযায়ী আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’

আরো পড়ুন…

ছাত্রদল সব সময় ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করে যাচ্ছি। ছাত্রলীগের অত্যাচার-নির্যাতনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ ছিল। তাদের প্রতি শিক্ষার্থীদের সামান্যতম সমর্থনও ছিল না। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেই ক্ষান্ত হয়নি, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। রক্তাক্ত হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে।’

বক্তব্যে রাকিবুল ইসলাম জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রদলের উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ছাত্রদলের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো উৎপাদনশীল ও কর্মমুখী তরুণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করা। কর্মমুখী শিক্ষায় মনোনিবেশে তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লব এবং ২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে বুকে ধারণ করে ছাত্রদল দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করবে।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম (রিতা)। ছাত্রদলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ছাত্রদলের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। অতীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রদলের ভূমিকা রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে থাকতেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার, তাঁদের সুযোগ-সুবিধায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কাজ করার এখন সময় ও সুযোগ এসেছে।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি শাহজাহান শাওন, যুগ্ম সম্পাদক আল মামুন, এস এম রাকিবুল ইসলাম ও তারেক হাসান মামুন, জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মৃদুল কান্তি মন্ডল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্রদলের ত্যাগের বিনিময়ে জুলাই-আগস্ট প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে : ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম

আপডেট সময় : ১০:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রলয় ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এক দিনে তৈরি হয়নি। সারা বাংলাদেশের ছাত্রদলের অকুতোভয় সৈনিকদের কারণেই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। ছাত্রদলের হাজার হাজার লাখ লাখ নেতা-কর্মীর ত্যাগের বিনিময়ে জুলাই-আগস্টের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। সেই প্রক্ষাপটের ওপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ছাত্রদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন ছাত্রদল সভাপতি। ছাত্রদলের জেলা শাখার অধীন কলেজ ও মাদরাসা ইউনিট ছাত্রদলের মধ্যে সদস্য ফরম বিতরণ উপলক্ষে এই কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা ছাত্রদল।

সম্মেলনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, ‘কেউ যদি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পতাকার নিচে রাজনীতি করে এসে বলেন, আমি ছাত্রশিবির বা জামায়াতের রাজনীতি করি, তা কেউ মেনে নেবে? এ কারণে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কেউ যদি লিপ্ত থাকেন তাঁদেরকে ঘোষণা দিয়ে আপনারা প্রতিহত করবেন। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ, সাড়ে ১৫ বছরের ত্যাগ, শ্রমকে অস্বীকার করে ইতিহাস করার চেষ্টা করবে, তা হবে না।’

নারী নেতৃত্বকে ছাত্রদল অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্টের সময়ে ছাত্রলীগের অত্যাচার-নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির প্রতি বিমুখ অবস্থায় রয়েছে। ছাত্ররাজনীতির প্রতি কিছুট ঘৃণা চলে এসেছে। সাড়ে ১৫ বছরে ছাত্রলীগ মা-বোনদের ওপর নির্যাতন করেছে। ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মীর দ্বারা নারীনেত্রী বা সাধারণ ছাত্রী লাঞ্ছিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের স্টাইল অনুযায়ী আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’

আরো পড়ুন…

ছাত্রদল সব সময় ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করে যাচ্ছি। ছাত্রলীগের অত্যাচার-নির্যাতনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ ছিল। তাদের প্রতি শিক্ষার্থীদের সামান্যতম সমর্থনও ছিল না। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেই ক্ষান্ত হয়নি, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। রক্তাক্ত হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে।’

বক্তব্যে রাকিবুল ইসলাম জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রদলের উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ছাত্রদলের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো উৎপাদনশীল ও কর্মমুখী তরুণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করা। কর্মমুখী শিক্ষায় মনোনিবেশে তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লব এবং ২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে বুকে ধারণ করে ছাত্রদল দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করবে।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম (রিতা)। ছাত্রদলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ছাত্রদলের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। অতীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রদলের ভূমিকা রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে থাকতেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার, তাঁদের সুযোগ-সুবিধায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কাজ করার এখন সময় ও সুযোগ এসেছে।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি শাহজাহান শাওন, যুগ্ম সম্পাদক আল মামুন, এস এম রাকিবুল ইসলাম ও তারেক হাসান মামুন, জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মৃদুল কান্তি মন্ডল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান প্রমুখ।