ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সদরপুরে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ভালুকায় ইকরাম সোয়েটার্সের অভ্যন্তরে অগ্নিকাণ্ড, থানায় জিডি গফরগাঁও এ ভূমি অধিগ্রহণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার: আশফাক নিপুন জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ ঈদের আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে যা বললেন মাউশি ডিজি এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা হাসিনার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক ইজারাদারের কাছে নজরুল জন্মজয়ন্তী’র বরাদ্দ হস্তান্তর করলেন ত্রিশালের ইউএনও

প্রেমিকার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে তরুণী : মামুন রানা ও পরিবারের লোকজন পলাতক

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছে তরুণী। অনশনে বসা ওই তরুনীর নাম শারমিন নাহার (২৫) সে ডিগ্রি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।অভিযুক্ত প্রেমিক মামুন রানা সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে বগুড়া আদমদিঘীতে কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ করে বলে জানা গেছে।

মামুন রানা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ সাত মাস ধরে শারীরিক সম্পর্কে পর শারমিনকে বিয়ে না করায় এমন অনশনে বসেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক মামুন রানা ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

শারমিন নাহার জানান, মামুন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাত মাস ধরে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো।গত পরশু মামুনের কর্মস্থল এলাকা বগুড়া আদমদিঘীতে আমাকে ডেকে নেয়। সেখানে এক বাসায় সময় কেটে কয়েল আনার কথা বলে সেখান হতে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন ও ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় বাড়িতে চলে আসি।

এদিকে ঘটনা জানা জানির পর আমার বাবা মা আমাকে বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না।উপায় না পেয়ে সকালে মামুন রানার বাড়িতে অনশনে বসি।মামুনের পরিবারের লোকজন আমাকে টেনে হেচড়ে বাইরে রেখে ঘর তালা মেরে পালিয়ে গেছে।আমি বর্তমানে মামুন রানার চাচার বাসায় অবস্থান করছি।বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়েটির সাথে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। এটা আশপাশের লোকজন জানে।কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া নিয়ে মেয়েটির সাথে এমন প্রতারণা করা ঠিক হয় নাই। দুই পরিবার বসে বিষয়টি সমাধান করতে পারে বলে জানান তিনি।

মামুনের সাথে কথা হয়েছে এমন বরাত দিয়ে মামুনের ভাই,নয়া সংবাদকর্মীদের জানান শারমিনকে আবার বগুড়া পাঠে দিলে মামুন বিয়ে করবে।তবে এ রিস্ক নিতে চাচ্ছে না স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বলেন,এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নাই, অভিযোগ পেলে আইনগত সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

প্রেমিকার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে তরুণী : মামুন রানা ও পরিবারের লোকজন পলাতক

আপডেট সময় : ০৭:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

জাফর আহমেদ, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছে তরুণী। অনশনে বসা ওই তরুনীর নাম শারমিন নাহার (২৫) সে ডিগ্রি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।অভিযুক্ত প্রেমিক মামুন রানা সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে বগুড়া আদমদিঘীতে কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ করে বলে জানা গেছে।

মামুন রানা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ সাত মাস ধরে শারীরিক সম্পর্কে পর শারমিনকে বিয়ে না করায় এমন অনশনে বসেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক মামুন রানা ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

শারমিন নাহার জানান, মামুন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাত মাস ধরে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো।গত পরশু মামুনের কর্মস্থল এলাকা বগুড়া আদমদিঘীতে আমাকে ডেকে নেয়। সেখানে এক বাসায় সময় কেটে কয়েল আনার কথা বলে সেখান হতে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন ও ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় বাড়িতে চলে আসি।

এদিকে ঘটনা জানা জানির পর আমার বাবা মা আমাকে বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না।উপায় না পেয়ে সকালে মামুন রানার বাড়িতে অনশনে বসি।মামুনের পরিবারের লোকজন আমাকে টেনে হেচড়ে বাইরে রেখে ঘর তালা মেরে পালিয়ে গেছে।আমি বর্তমানে মামুন রানার চাচার বাসায় অবস্থান করছি।বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়েটির সাথে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। এটা আশপাশের লোকজন জানে।কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া নিয়ে মেয়েটির সাথে এমন প্রতারণা করা ঠিক হয় নাই। দুই পরিবার বসে বিষয়টি সমাধান করতে পারে বলে জানান তিনি।

মামুনের সাথে কথা হয়েছে এমন বরাত দিয়ে মামুনের ভাই,নয়া সংবাদকর্মীদের জানান শারমিনকে আবার বগুড়া পাঠে দিলে মামুন বিয়ে করবে।তবে এ রিস্ক নিতে চাচ্ছে না স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বলেন,এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নাই, অভিযোগ পেলে আইনগত সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।