ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজ ক্যাম্পাসে হামলার শিকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ মে) দুপুর ১২টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের গেটে গাড়ি থেকে নামার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপাচার্য গাড়ি থেকে নামার সময় স্নাতক (পাস) ২০২২-এর পরীক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ধরে অটোপাসের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা উপাচার্যকে হামলার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, স্নাতক (পাস) কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা অটোপাসের দাবিতে কয়েক মাস আগেও বহুবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি করেছিল কিন্তু অটোপাস না দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে এ স্নাতক (পাস) কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে ৬৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা মহামারী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বিবেচনা করে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে ইতোমধ্যেই গ্রেস মার্ক দিয়ে পাস করানো হয়েছে। এছাড়া এদেরকে খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগও দেয়া হয়েছে, যার ফল এ মাসেই বের হবে। কিন্তু বিভিন্ন মহলের উস্কানির পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাচের কিছুসংখ্যক অকৃতকার্য শিক্ষার্থী আবার অটোপাসের দাবি নিয়ে এসে আজ ২১ মে বুধবার হঠাৎ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।

আরও জানানো হয়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো যেকোনো অবস্থাতেই কোন ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে কোন প্রকার অটোপাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিবে না। আজকের এই ন্যাক্কারজনক হামলার ব্যাপারে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে স্থানীয় গাছা থানায় মামলা দায়েরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিজ ক্যাম্পাসে হামলার শিকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ মে) দুপুর ১২টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের গেটে গাড়ি থেকে নামার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপাচার্য গাড়ি থেকে নামার সময় স্নাতক (পাস) ২০২২-এর পরীক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ধরে অটোপাসের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা উপাচার্যকে হামলার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, স্নাতক (পাস) কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা অটোপাসের দাবিতে কয়েক মাস আগেও বহুবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি করেছিল কিন্তু অটোপাস না দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে এ স্নাতক (পাস) কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে ৬৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা মহামারী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বিবেচনা করে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে ইতোমধ্যেই গ্রেস মার্ক দিয়ে পাস করানো হয়েছে। এছাড়া এদেরকে খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগও দেয়া হয়েছে, যার ফল এ মাসেই বের হবে। কিন্তু বিভিন্ন মহলের উস্কানির পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাচের কিছুসংখ্যক অকৃতকার্য শিক্ষার্থী আবার অটোপাসের দাবি নিয়ে এসে আজ ২১ মে বুধবার হঠাৎ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।

আরও জানানো হয়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো যেকোনো অবস্থাতেই কোন ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে কোন প্রকার অটোপাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিবে না। আজকের এই ন্যাক্কারজনক হামলার ব্যাপারে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে স্থানীয় গাছা থানায় মামলা দায়েরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।