ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, বৃদ্ধ আটক।

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে
আমতলী উপজেলার কুকুয়া গ্রামের আরএনটি ইটভাটায় ৮ বছরের এক শিশু কন্যাকে হাফেজ গাজী নামের এক বৃদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির পরিবার এমন অভিযোগ করেছেন। আহত শিশুকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীকে (৬৫) রবিবার রাতে আটক করেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়।
জানাগেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার শিশু কন্যার বাবা ও মা আমতলী উপজেলার কুকুয়া গ্রামের আরএনটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা-মা ইটভাটিতে কাজ করছিল। শিশুটি একা বাসায় ছিল। শিশুটির পাশের বাসায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীর বাসা। শিশুটি ওইদিন সন্ধ্যায় প্রকৃতির ডাকে সারা দিলে বাহিরে নামে। এ  সময় হাফেজ গাজী শিশুকে ধরে তার বাসায় নিয়ে যায়। ওইখানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টা করে এবং তার গোপনাঙ্গে আঙ্গুল দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে এমন দাবী শিশুটর মায়ের। শিশুটির ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্ত হাফেজ গাজী পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেছে ইটভাটার ম্যানেজার জসিম মিয়া শালিস ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। ব্যথার যন্ত্রনা সইতে না পেরে শিশুটিকে রবিবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। শিশুটি বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীকে ওইদিন রাতে পুলিশ আটক করেছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
শিশুটির মা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েটাকে হাফেজ গাজী ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এবং গোপনাঙ্গে আঘাত করেছে। ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ইটভাটার ম্যানেজার জসিম মিয়া শালিস ব্যবস্থা করা কথা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমি এ ঘটনার জড়িত হাফেজ গাজীর শাস্তি দাবী করছি।
শিশুটির বাবা বলেন, আমাদের বাড়ী এ এলাকায় না। ইটভাটার ম্যানেজার প্রভাব বিস্তার করে এ ঘটনাটি ধামাপাচা দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেন তিনি।
ইটভাটার ম্যানেজার জসিম মিয়া শালিস ব্যবস্থা করার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি জানার পরেই হাফেজ গাজীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রলয়/তাসনিম তুবা 
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

আমতলীতে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, বৃদ্ধ আটক।

আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
আমতলী উপজেলার কুকুয়া গ্রামের আরএনটি ইটভাটায় ৮ বছরের এক শিশু কন্যাকে হাফেজ গাজী নামের এক বৃদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির পরিবার এমন অভিযোগ করেছেন। আহত শিশুকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীকে (৬৫) রবিবার রাতে আটক করেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়।
জানাগেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার শিশু কন্যার বাবা ও মা আমতলী উপজেলার কুকুয়া গ্রামের আরএনটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা-মা ইটভাটিতে কাজ করছিল। শিশুটি একা বাসায় ছিল। শিশুটির পাশের বাসায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীর বাসা। শিশুটি ওইদিন সন্ধ্যায় প্রকৃতির ডাকে সারা দিলে বাহিরে নামে। এ  সময় হাফেজ গাজী শিশুকে ধরে তার বাসায় নিয়ে যায়। ওইখানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টা করে এবং তার গোপনাঙ্গে আঙ্গুল দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে এমন দাবী শিশুটর মায়ের। শিশুটির ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্ত হাফেজ গাজী পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেছে ইটভাটার ম্যানেজার জসিম মিয়া শালিস ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। ব্যথার যন্ত্রনা সইতে না পেরে শিশুটিকে রবিবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। শিশুটি বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীকে ওইদিন রাতে পুলিশ আটক করেছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
শিশুটির মা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েটাকে হাফেজ গাজী ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এবং গোপনাঙ্গে আঘাত করেছে। ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ইটভাটার ম্যানেজার জসিম মিয়া শালিস ব্যবস্থা করা কথা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমি এ ঘটনার জড়িত হাফেজ গাজীর শাস্তি দাবী করছি।
শিশুটির বাবা বলেন, আমাদের বাড়ী এ এলাকায় না। ইটভাটার ম্যানেজার প্রভাব বিস্তার করে এ ঘটনাটি ধামাপাচা দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেন তিনি।
ইটভাটার ম্যানেজার জসিম মিয়া শালিস ব্যবস্থা করার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি জানার পরেই হাফেজ গাজীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাফেজ গাজীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রলয়/তাসনিম তুবা