ট্রাম্প-শি ফোনালাপের সম্ভাবনা: বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে যা জানাল হোয়াইট হাউজ

- আপডেট সময় : ০৩:০৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / ৫০ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ, এমন এক সময়ে যখন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। সোমবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাম্প ও শি’র মধ্যে আলোচনা সম্ভাব্য, যা ঘটতে পারে সম্প্রতি জেনেভায় সম্পাদিত একটি অস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাম্প সম্প্রতি যেভাবে বেইজিংকে ওই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন তা ভিত্তিহীন এবং বস্তুনিষ্ঠতাকে বিকৃত করে।তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সম্পর্কিত চিপ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ এবং মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মতো বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সমালোচনাও করেছে। এর আগে শুক্রবার ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেন, চীন সম্পূর্ণভাবে ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার ভাষায়, আমি খুব দ্রুত একটা চুক্তি করেছিলাম চীনের সঙ্গে, কারণ মনে করেছিলাম ওদের জন্য সামনে খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে… চুক্তির কারণে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে ওঠে এবং চীন আবার ব্যবসায়িক স্বাভাবিকতায় ফিরে যায়। কিন্তু চীন এখন সম্পূর্ণভাবে আমাদের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ উচ্চ হারে আরোপিত শুল্ক ও বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ থেকে পিছিয়ে আসতে সম্মত হয়েছিল। ৯০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির ওই ঘোষণা বিশ্লেষকদের কাছে ছিল এক বড় ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে সাম্প্রতিক বাকযুদ্ধ ইঙ্গিত দিচ্ছে, আলোচনার গতি এখন জটিলতার মুখে।
যদিও ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেননি চীন কোন দিক থেকে চুক্তি ভঙ্গ করেছে, তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন চুক্তি অনুযায়ী যে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ রপ্তানির কথা বলেছিল, তা এখন আটকে রেখেছে। এই খনিজ সম্পদগুলো — যেমন ‘রেয়ার আর্থ’ উপাদান — অত্যাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেসেন্ট রোববার সিবিএস-এ এক সাক্ষাৎকারে জানান, ট্রাম্প ও শি’র মধ্যে খুব শিগগিরই ফোনালাপ হবে এবং তারা পারস্পরিক মতপার্থক্য দূর করতে পারবেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় (অবিচ্ছিন্ন নয়) দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত শি’র সঙ্গে সরাসরি কোনো ফোনালাপ করেননি। তবে ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউজ একাধিকবার বলেছেন, দুই নেতার মধ্যে কথা বলার বিষয়টি সামনে আসছে।