পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা। বৃহস্পতিবার আলাদা বিবৃতিতে এই শুভেচ্ছা জানান তারা।

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ ও মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সবার জীবনকে আরো উদ্ভাসিত করুন মহান আল্লাহর কাছে আমরা এই কামনা করছি।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ যৌথ শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, পশু কোরবানিকে আল্লাহ ওয়াজিব করেছেন, দ্বীন কায়েমের জন্য জান ও মাল কোরবানিকে আল্লাহ ফরজ করেছেন। প্রতিবারের মতো ত্যাগ ও কোরবানির প্রেরণা নিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে সমাগত। এই ঈদ শুধুমাত্র ত্যাগের চেতনাকেই উজ্জীবিত করে না, সেই সঙ্গে সমাজে অনৈক্য ভুলে গিয়ে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরো মজবুত করে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর জন্য ত্যাগ, আনুগত্য ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক গৌরবময় নিদর্শন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর ঐতিহাসিক আত্মত্যাগ কিয়ামত পর্যন্ত ইমানদারদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে। এই ঈদ আমাদের শিক্ষা দেয়—আল্লাহর আদেশের সামনে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ, ব্যক্তিস্বার্থ ও প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে ত্যাগ স্বীকার এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতা গড়ে তোলাই পবিত্র ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা।

আরেক শুভেচ্ছা বার্তায় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্র, স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদ মুক্ত ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী ও মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, প্রতি বছরই আমাদের মাঝে ইব্রাহিমী আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহায় অগনিত পশু কোরবানির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিসর্জন দিয়ে থাকে সারা বিশ্বের মুসলমানগণ। কোরবানির ঈদে এতিম গরিব ও অধিনস্ত অসহায় পরিবারগুলো যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে এজন্য তাদের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণ করা মানবিক ও ঈমানি দায়িত্ব।

আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী এক শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, ঈদুল আজহা আমাদেরকে ত্যাগ, আনুগত্য, তাকওয়া এবং খাঁটি ঈমানের অমূল্য শিক্ষা দেয়। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এবং ইসমাঈল (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—যা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রাখার মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে।