ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাজীপুরে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে হয়ে গেলো ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার আসামি

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর মহানগরীতে মাসুদ রানা(১৭) নামের এক কিশোর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে হয়ে গেলো ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামী করেছে সদর থানা পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২ টায় এঘটনা ঘটে।।গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুদ হলো- সদর থানার ইপসা এলাকার মৃত রহমান আলীর ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় মাজহারুল উলুম ফুলেমুন্নেছা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। তার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। একারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি সে একটি হোটেলে কাজ করে। জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে একই এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে সুজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সুজন ও তার ৮/১০ জন সহযোগীদের সহযোগিতায় মাসুদকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। এসময় মাসুদের ডাক চিৎকারে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মারধর করার কারণ জিজ্ঞেস করলে, সুজন তার অপরাধ লুকানোর জন্য তাৎক্ষণিক ৯৯৯’এ ফোন করে পুলিশ নিয়ে আসে। এরপর সদর থানার এএসআই তহুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাসুদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩৯৯/৪০২ ধারায় সদর থানার ২৩(০৫)২৫ নং মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

এঘটনায় পুলিশের কর্মকান্ডে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এবিষয়ে গ্রেফতারকৃত মাসুদের বড় বোন রেহানা জানান, উনার ছোট ভাইকে সুজন ও তার সহযোগীরা অন্যায়ভাবে অমানবিক নির্যাতন করে। এমনকি সুজন তার অপরাধ লুকানোর চেষ্টায় পুলিশকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে। যার কারণে পুলিশ তার ভাইকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এর সাথে জড়িত না থাকা স্বত্তেও বেআইনীভাবে উনার ভাইকে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। তার ছোট ভাই বর্তমানে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রয়েছে।

তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি করছেন। ৯৯৯’এর সংবাদদাতা সুজন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী উনার বাড়ীর সামনে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিরক্ত ও উত্যক্ত করে। কিন্তু তিনি নিজেই এই মেয়ের নাম জানেনা। এমনকি এই মেয়ের পরিবার কোন অভিযোগ না করা স্বত্বেও এই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসার পর তার সাথে মাসুদের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উনি মারধর করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী ক্ষীপ্ত হয়ে উনাকে মারতে আসলে উনি ৯৯৯’এ ফোন দিয়ে পুলিশের কাছে মাসুদকে হস্তান্তর করে। এবিষয়ে সদর থানার এএসআই তহুরুল হকের কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন।এসংক্রান্তে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে হয়ে গেলো ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার আসামি

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর মহানগরীতে মাসুদ রানা(১৭) নামের এক কিশোর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে হয়ে গেলো ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামী করেছে সদর থানা পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২ টায় এঘটনা ঘটে।।গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুদ হলো- সদর থানার ইপসা এলাকার মৃত রহমান আলীর ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় মাজহারুল উলুম ফুলেমুন্নেছা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। তার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। একারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি সে একটি হোটেলে কাজ করে। জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে একই এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে সুজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সুজন ও তার ৮/১০ জন সহযোগীদের সহযোগিতায় মাসুদকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। এসময় মাসুদের ডাক চিৎকারে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মারধর করার কারণ জিজ্ঞেস করলে, সুজন তার অপরাধ লুকানোর জন্য তাৎক্ষণিক ৯৯৯’এ ফোন করে পুলিশ নিয়ে আসে। এরপর সদর থানার এএসআই তহুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাসুদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩৯৯/৪০২ ধারায় সদর থানার ২৩(০৫)২৫ নং মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

এঘটনায় পুলিশের কর্মকান্ডে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এবিষয়ে গ্রেফতারকৃত মাসুদের বড় বোন রেহানা জানান, উনার ছোট ভাইকে সুজন ও তার সহযোগীরা অন্যায়ভাবে অমানবিক নির্যাতন করে। এমনকি সুজন তার অপরাধ লুকানোর চেষ্টায় পুলিশকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে। যার কারণে পুলিশ তার ভাইকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এর সাথে জড়িত না থাকা স্বত্তেও বেআইনীভাবে উনার ভাইকে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। তার ছোট ভাই বর্তমানে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রয়েছে।

তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি করছেন। ৯৯৯’এর সংবাদদাতা সুজন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী উনার বাড়ীর সামনে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিরক্ত ও উত্যক্ত করে। কিন্তু তিনি নিজেই এই মেয়ের নাম জানেনা। এমনকি এই মেয়ের পরিবার কোন অভিযোগ না করা স্বত্বেও এই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসার পর তার সাথে মাসুদের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উনি মারধর করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী ক্ষীপ্ত হয়ে উনাকে মারতে আসলে উনি ৯৯৯’এ ফোন দিয়ে পুলিশের কাছে মাসুদকে হস্তান্তর করে। এবিষয়ে সদর থানার এএসআই তহুরুল হকের কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন।এসংক্রান্তে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।