ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবহেলার শিকার শহীদ নুরুল মোস্তফার পরিবার

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি দিবসেও‌ বরাবরের মতো উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অবহেলা ও অমর্যাদার শিকার হয়েছেন জুলাই বিপ্লবে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া শহীদ নুরুল মোস্তফা ও তার পরিবার। যা নিয়ে জুলাইযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ৫ আগস্ট মঙ্গলবার ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদ মুক্তির ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের প্রথম বর্ষপূর্তি।

সরকার এদিনকে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। সরকার হাতে নেয় নানা কর্মসূচি। যার মধ্যে রয়েছে উপজেলাভিত্তিক জুলাই বিপ্লবের প্রতিটি শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিচারণের ওপর আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে , জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বিগত এক বছরে শহীদ নুরুল মোস্তফা ও তার পরিবার রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত অজুহাতে উপজেলা প্রশাসন ও সরকার কর্তৃক যেভাবে অবহেলা ও অবমূল্যায়নের শিকার হয়ে আসছেন গত ৫ আগস্ট বিপ্লব বর্ষপূর্তির দিনেও একইভাবে চরম অবহেলা ও অমর্যাদার শিকার হয়েছেন। এদিন উপজেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি শহীদ নুরুল মোস্তফার কবরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কিংবা শহীদের হতদরিদ্র পরিবারের খোঁজখবর নেননি।

শহীদের পিতা শফিউল্লাহ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার শিশু ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে এক বছর হতে চলল। কিন্তু রোহিঙ্গা অজুহাতে তার ছেলেকে এক বছরেও শহীদের স্বীকৃতি দেননি এবং কোনোরকম সাহায্যও পাননি। এমনকি বর্ষপূর্তির দিনেও কোনো খোঁজ নেননি।

ঈদগাঁওয়ের জুলাইযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এসকে আহমদ ফারুকী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বিপ্লবের ফসল এ সরকার আন্তরিক হলে বিশেষ আদেশে নুরুল মোস্তফাকে শহীদের স্বীকৃতি দিতে এক বছর সময়ের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া বিপ্লব বর্ষপূর্তির দিনেও উপজেলা প্রশাসন শহীদ নুরুল মোস্তফার কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। এ আচরণে মনে হচ্ছে- উপজেলা প্রশাসন এখনো এ বিপ্লবকে মনে প্রাণে ধারণ করতে পারছে না। তবে একই এলাকার অন্য শহীদ নুরুল আমিনের কবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে সহকারী কমিশনার ভূমি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নেওয়া হয়।

পরে উপজেলার অস্থায়ী সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলে তাতেও উপজেলা প্রশাসনের অনুগতরা ব্যতীত ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা আমন্ত্রণ পাননি জানান উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম, জামায়াতের আমির মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদী ও উপজেলা প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন আল নোমান এ বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার ভূমি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শারমিন সুলতানার সরকারি মোবাইলে বারবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবহেলার শিকার শহীদ নুরুল মোস্তফার পরিবার

আপডেট সময় : ০২:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি দিবসেও‌ বরাবরের মতো উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অবহেলা ও অমর্যাদার শিকার হয়েছেন জুলাই বিপ্লবে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া শহীদ নুরুল মোস্তফা ও তার পরিবার। যা নিয়ে জুলাইযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ৫ আগস্ট মঙ্গলবার ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদ মুক্তির ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের প্রথম বর্ষপূর্তি।

সরকার এদিনকে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। সরকার হাতে নেয় নানা কর্মসূচি। যার মধ্যে রয়েছে উপজেলাভিত্তিক জুলাই বিপ্লবের প্রতিটি শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিচারণের ওপর আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে , জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বিগত এক বছরে শহীদ নুরুল মোস্তফা ও তার পরিবার রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত অজুহাতে উপজেলা প্রশাসন ও সরকার কর্তৃক যেভাবে অবহেলা ও অবমূল্যায়নের শিকার হয়ে আসছেন গত ৫ আগস্ট বিপ্লব বর্ষপূর্তির দিনেও একইভাবে চরম অবহেলা ও অমর্যাদার শিকার হয়েছেন। এদিন উপজেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি শহীদ নুরুল মোস্তফার কবরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কিংবা শহীদের হতদরিদ্র পরিবারের খোঁজখবর নেননি।

শহীদের পিতা শফিউল্লাহ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার শিশু ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে এক বছর হতে চলল। কিন্তু রোহিঙ্গা অজুহাতে তার ছেলেকে এক বছরেও শহীদের স্বীকৃতি দেননি এবং কোনোরকম সাহায্যও পাননি। এমনকি বর্ষপূর্তির দিনেও কোনো খোঁজ নেননি।

ঈদগাঁওয়ের জুলাইযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এসকে আহমদ ফারুকী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বিপ্লবের ফসল এ সরকার আন্তরিক হলে বিশেষ আদেশে নুরুল মোস্তফাকে শহীদের স্বীকৃতি দিতে এক বছর সময়ের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া বিপ্লব বর্ষপূর্তির দিনেও উপজেলা প্রশাসন শহীদ নুরুল মোস্তফার কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। এ আচরণে মনে হচ্ছে- উপজেলা প্রশাসন এখনো এ বিপ্লবকে মনে প্রাণে ধারণ করতে পারছে না। তবে একই এলাকার অন্য শহীদ নুরুল আমিনের কবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে সহকারী কমিশনার ভূমি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নেওয়া হয়।

পরে উপজেলার অস্থায়ী সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলে তাতেও উপজেলা প্রশাসনের অনুগতরা ব্যতীত ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা আমন্ত্রণ পাননি জানান উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম, জামায়াতের আমির মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদী ও উপজেলা প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন আল নোমান এ বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার ভূমি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শারমিন সুলতানার সরকারি মোবাইলে বারবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।