ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু ২ অক্টোবর থেকে

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে

তৌহিদ বেলাল, কক্সবাজার অফিস

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ২ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠানামা শুরু করবে। তবে টার্মিনাল ভবনের কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি, ফলে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট চালু হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।

জানা গেছে, বিমানবন্দরে যাত্রী আগমন ও প্রস্থান লাউঞ্জ, ডিপারচার কনভেয়ার বেল্ট এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টার নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। বিমানবন্দরের রানওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও, এইসব কাজ শেষ হতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রস্তুতি এবং ফ্লাইট স্লটও এখনও চুড়ান্ত হয়নি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, অবশিষ্ট কাজ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়ে ফ্লাইট পরিকল্পনা জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেবিচকের সদস্য (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবো। আইকাওকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এখন এয়ারলাইন্সগুলোর সাড়ার অপেক্ষা করছি।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। এতে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, পরিবহন, আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কর্পোরেট ইভেন্ট আয়োজনসহ স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কার্যক্রম শুরু হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সরকার এই বিমানবন্দরকে শুধু পর্যটনের নয়, বরং একটি আঞ্চলিক হাব ও রি-ফুয়েলিং পয়েন্ট হিসেবেও গড়ে তুলতে চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু ২ অক্টোবর থেকে

আপডেট সময় : ০৬:২০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

তৌহিদ বেলাল, কক্সবাজার অফিস

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ২ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠানামা শুরু করবে। তবে টার্মিনাল ভবনের কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি, ফলে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট চালু হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।

জানা গেছে, বিমানবন্দরে যাত্রী আগমন ও প্রস্থান লাউঞ্জ, ডিপারচার কনভেয়ার বেল্ট এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টার নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। বিমানবন্দরের রানওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও, এইসব কাজ শেষ হতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রস্তুতি এবং ফ্লাইট স্লটও এখনও চুড়ান্ত হয়নি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, অবশিষ্ট কাজ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়ে ফ্লাইট পরিকল্পনা জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেবিচকের সদস্য (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবো। আইকাওকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এখন এয়ারলাইন্সগুলোর সাড়ার অপেক্ষা করছি।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। এতে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, পরিবহন, আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কর্পোরেট ইভেন্ট আয়োজনসহ স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কার্যক্রম শুরু হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সরকার এই বিমানবন্দরকে শুধু পর্যটনের নয়, বরং একটি আঞ্চলিক হাব ও রি-ফুয়েলিং পয়েন্ট হিসেবেও গড়ে তুলতে চায়।