ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নাটোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৩ যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

নাটোর সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ গুম করার দায়ে মো. মনির (২৩), সেলিম হোসেন (২৫) ও মো. শরিফ (২২) নামের তিন যুবককে ভিন্ন ধারায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়ার তালতলা এলাকার মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. সেলিম হোসেন, একই এলাকার মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ এবং আরশেদ ওরফে হেনতালের ছেলে মো. মনির হোসেন।

মামলার বরাতে আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে জরুরি কাজে বের হলে সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে সেলিম হোসেনসহ অন্যান্যদের পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো হুমকি-ধমকি দেন।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে অভিযুক্ত করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই শিক্ষার্থীর কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত চন্দ্র পরামানিক, এসএম আবু সাদাদ ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে আদালত আজ এই রায় দেন।

জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আনিসুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাটোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৩ যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

নাটোর সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ গুম করার দায়ে মো. মনির (২৩), সেলিম হোসেন (২৫) ও মো. শরিফ (২২) নামের তিন যুবককে ভিন্ন ধারায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়ার তালতলা এলাকার মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. সেলিম হোসেন, একই এলাকার মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ এবং আরশেদ ওরফে হেনতালের ছেলে মো. মনির হোসেন।

মামলার বরাতে আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে জরুরি কাজে বের হলে সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে সেলিম হোসেনসহ অন্যান্যদের পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো হুমকি-ধমকি দেন।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে অভিযুক্ত করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই শিক্ষার্থীর কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত চন্দ্র পরামানিক, এসএম আবু সাদাদ ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে আদালত আজ এই রায় দেন।

জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আনিসুর রহমান।