ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৯ বার পড়া হয়েছে

সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার: সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমলো বেশ কয়েকটি সবজির দাম। সবজির দাম কমার তালিকায় রয়েছে কাঁচা মরিচ, বেগুন, টমেটো এবং পেঁপে। অপরদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে চড়া দামে বাজারে ডিম ও মুরগি বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুলসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা জসিম বলেন, সরবরাহ বাড়ায় কয়েকটি সবজির দাম সামান্য কমেছে। তবে বেশিরভাগের দামই আছে অপরিবর্তিত।

বাজারে প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, কহি ৫০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে তুলনামূলক কমই আছে। তবে চড়া আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। সাদিক নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম মাত্রাতিরিক্ত। এসব পণ্যের দাম কমাতে সরকারকে নজর দিতে হবে।

তবে বাজারে চড়া ডিম ও মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ইলিশ ছাড়া কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায়, কৈ ২৪০-২৮০ টাকায়, শিং প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় বেশকিছু অঞ্চলে চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার

আপডেট সময় : ০২:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমলো বেশ কয়েকটি সবজির দাম। সবজির দাম কমার তালিকায় রয়েছে কাঁচা মরিচ, বেগুন, টমেটো এবং পেঁপে। অপরদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে চড়া দামে বাজারে ডিম ও মুরগি বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুলসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা জসিম বলেন, সরবরাহ বাড়ায় কয়েকটি সবজির দাম সামান্য কমেছে। তবে বেশিরভাগের দামই আছে অপরিবর্তিত।

বাজারে প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, কহি ৫০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে তুলনামূলক কমই আছে। তবে চড়া আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। সাদিক নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম মাত্রাতিরিক্ত। এসব পণ্যের দাম কমাতে সরকারকে নজর দিতে হবে।

তবে বাজারে চড়া ডিম ও মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ইলিশ ছাড়া কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায়, কৈ ২৪০-২৮০ টাকায়, শিং প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় বেশকিছু অঞ্চলে চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।