বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
মীর সবুর আহম্মেদ
চারণ সাংবাদিক ও নাগরিক সাংবাদিক মনোনেশ দাস অনলাইন প্লাটফর্মে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তিনি পেয়েছেন রাইটার ও রিলস্ ক্রিয়েটর সুপারস্টার সন্মাননা। পেয়েছেন কনসিস্টেন্ট রিলস ক্রিয়েটর , ডিজিটাল ক্রিয়েটর রাইজিং ক্রিয়েটর সন্মাননাও। বিশে^র বহু দেশের বিভিন্ন বিষেয়ে উকিপিডিয়ায় বিভিন্ন ভাষায় সম্পাদনাও করেছেন তিনি। সামাজিক প্রায় সকল মাধ্যমেই তার পদচারনা রয়েছে।
জানা যায়, মনোনেশ দাস (mononesh das) ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তাই তিনি চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস নামে সুপরিচিত। তিনি মুক্তাগাছার মুজাটি গ্রামের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন। মনোনেশ দাস ১৯৭৫ সালের ২৩ মার্চ মুজাটি গ্রামের এক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মনোনেশ দাস’র সাথে পরিচয় ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে লেখালেখি সময় থেকে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত মনোনেশ দাস সংবাদের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও ধৈর্যের সাথে নিজেকে বেঁধে রেখেছেন। উনার হয়তো আর কেউ এমনভাবে সাংবাদিকতার সাথে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি।
তাই উনার সহকর্মী সাংবাদিক অনুসারীরা তাকে সবসময়ই অনুসরণ করে। মনোনেশ দাস অনেক অবহেলিত বিষয় গণমাধ্যমে সংবাদ হিসেবে উপস্থাপন করে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাই উনার যোগ্যতার প্রতি সম্মান জানিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতার বিশেষ সম্মানে সম্মাননা লাভ করেন এবং চারণ সাংবাদিক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
এখানে উল্লেখ করা ভালো যে চারণ সাংবাদিক কাকে বলে? চারণ সাংবাদিক হলো, মফস্বলে অনেক সাংবাদিক আছেন যারা সত্যি তথ্যটি তুলে ধরার জন্য ঘটনা স্থলে যান এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঠ-ঘাট, গ্রাম্য, জনপদ চষে বেড়ান। সেই সব সাংবাদিকরা চারণ সাংবাদিক নামে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।
চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস দেশ, রাজ্য, সরকার, সমাজ, শহর, সম্প্রদায়, ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ, লোকশিল্প, চিকিৎসা, নববর্ষ, নগরায়ন, বিনোদন, খেলাধুলা, ভাষা আন্দোলন, ধর্ম, ফুল, ফল, পশু-পাখি প্রকৃতিসহ অসংখ্য বিষয়ে লেখালেখি করে সাংবাদিকতায় আলোকপাত করেছেন।
চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস এক অবহেলিত পাড়াগাঁয় থেকে সবচেয়ে যোগ্য আদর্শ সাংবাদিক হয়ে ওঠার এক সূচনাকারী। উনার লেখা মানুষকে উৎসাহিত করে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে।
মফস্বলের বেশিরভাগ অবহেলিত খবর যেকোনো সংবাদপত্রকে সমৃদ্ধ করে এবং তার সূক্ষ্ম সৌন্দর্যকে নিজস্ব উপায়ে তুলে ধরতে সহকর্মীদেরও উৎসাহিত করে। এর প্রমাণ বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল। গুগল সার্চ বারে বাংলায় মনোনেশ দাস অথবা ইংরেজিতে Mononesh Das লিখে সার্চ ক্লিক করলেই বোঝা যায় যে, উনার সাংবাদিকতার প্রতিভা বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। সাংবাদিকতার ইতিহাসে তিনি সুদূরপ্রসারী কর্মকাণ্ডের সূচনা।
তিনি বহু বছর ধরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের গ্রাম-শহরে লুকিয়ে থাকা বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করে থাকেন। নিজের মেধার পরিচয় দিয়ে লিখে থাকেন। সেসব লেখা সচরাচর স্থান পায় সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়। তিনি নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে উপস্থাপিত জ্ঞান প্রকাশের জন্য একটি অনন্য আদর্শ ব্যক্তিত্ব। তারপর তিনি সহকারী সহসাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন।
সংবাদের বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত যত্নবান ও রুচিশীলতার পরিচয় বহন করেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক পত্রিকায় পাতায় মনোনেশ দাস’র লেখাগুলো। তিনি সাংবাদিকতার বাতিঘর থেকে হয়ে উঠেছে স্বচ্ছ আয়না মতো। এটাই চারণ সাংবাদিক হিসেবে মনোনেশ দাস’র লেখালেখির প্রতিফলন।
উনি মনোনেশ দাস এতোটাই ভালো লিখে থাকেন যে, সময় সময় উনার লেখা খোদ প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ে। একসময় সচিত্র প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌলিক মানবাধিকারের শর্ত পূরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, উদার, শেষ আশার আশ্রয় নেওয়ার মানুষ হিসেবে হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন আরও অনেক লেখা লিখেছেন বলে জানান এই চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস। উনারই লেখা ২৬ মে, ২০১৬ইং তারিখে, ঢাকা টাইমস ২৪ ডট কম শিরোনামে, “দ্য শেল্টার অফ দ্যা রেচড মাদার” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে পড়ে।
এছাড়াও মনোনেশ দাস’র সাংবাদিকতার জীবনে বড় প্রাপ্তি হলো, “ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের তেজপাটুলি গ্রামের বৃদ্ধা মা মরিয়ম নেশা আজ বেঁচে নেই- রয়ে যাবে অনন্ত স্মৃতি” শিরোনামে লেখা রিপোর্টিং তার জীবনে সাংবাদিকতার বড় অর্জন।
চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সেনা সমর্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে নিয়ে “ভারতে যে বাড়িতে জন্মেছিলেন এরশাদ” শিরোনামে প্রতিবেদন লিখেছিলেন যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। যা তাকে তারকা খ্যাতি এনে নেয়।
এমন আরও চম্বুক শিরোনামে লেখার কারণে একসময় ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান হিসেবে সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ তাকে শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। জুন মাসে ময়মনসিংহের সেরা সংবাদদাতা শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়।
বর্তমানে ইন্টারনেটের সুবাদে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের হাতে মুঠোয় যেমন এই পৃথিবী বন্দী, তেমনই ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে আছে মনোনেশ দাস’র অসংখ্য লেখা। তা প্রমাণ মেলে বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অনুসন্ধানে।
এবিষয়ে কথা হয় সাংবাদিক আনিসুর রহমানের সাথে, তিনি বলেন , চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাসকে নিয়ে আমরা গর্বিত। তিনি তার লেখনির মাধ্যমে গুগল ইঞ্জিনে স্থান করে নিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনার কর্মজীবিনের সফলতা কামনা-সহ উনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ফেসবুক লিংক: https://www.facebook.com/mononeshdas1975