ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

সালথায় পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৪ লক্ষ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

সালথা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা:

ফরিদপুরের সালথায় বিষ প্রয়োগ করে ৪ লক্ষ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী জামাল মাতুব্বর বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায়। জামাল মাতুব্বর ঐ গ্রামের আ. মালেক মাতুব্বরের ছেলে।

ভুক্তভোগী জামাল মাতুব্বর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধায় প্রতিদিনের মত পুকুরের নিয়মিত খাবার দিয়ে বাড়িতে যায়। পরেরদিন শুক্রবার সকালে পুকুরে গিয়ে মাছ মরা অবস্থায় দেখতে পায়। জামাল মাতুব্বর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা পুকুরের মরা মাছ দেখতে পেয়ে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তারা পুকুরে পাশে (রাজটক্স ৫৭%) গ্যাস ট্যাবলেটের খোসা দেখতে পায়। এসময় তারা ১৬টি খোসা খুঁজে পায়। খোসা নিয়ে বাজারে গেলে সালথা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যাবসায়ী মানোয়ারের কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তারা জানতে পারে বৃহস্পতিবার বিকেলে আবুল বাসার তার কাছ থেকে একবক্স গাস ট্যাবলেট কিনে নিয়ে যায়। মুলত স্থানীয় আবুল বাসার ও কাজী জাকের কাজী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।

আবুল বাসার মুলত ইদুর তারানোর কথা বলে গ্যাস ট্যাবলেট নিয়েছিলো বলে দোকানদার মানোয়ার জানান। গ্যাস ট্যাবলেটের খালি খোশাগুলি কিছু পুকুরের পাড়ে এবং কিছু অভিযুক্তদের ভেসালের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন, মাছ নিধনের বিষটি দুঃখজনক। ভুক্তভোগীকে মৎস্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে এই বিষয়ে আইনগত সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন-

এই বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল বাসার মাতুব্বর বলেন, প্রতিবছর আমি একবক্স করে গ্যাস ট্যাবলেট কিনে হালি পেঁয়াজের ক্ষেতের চারপাশে দেই। এতে করে ঘুগড়াপোকা আসে না। আমার নিজের পুকুরেও মাছ মরে গেছে। পুকুরের পাশে আমাদের ভেসাল আছে। ষড়যন্ত্র করে কেউ গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আমরা কারো উপর হামলা করি নাই, উল্টো ওরাই আমাদের উপর হামলা করেছে।

সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে। পুলিশ ফিরে আসলে উভয় পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পুনরায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

দৈনিক প্রলয়/এমএআর

নিউজটি শেয়ার করুন

সালথায় পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৪ লক্ষ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সালথা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা:

ফরিদপুরের সালথায় বিষ প্রয়োগ করে ৪ লক্ষ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী জামাল মাতুব্বর বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায়। জামাল মাতুব্বর ঐ গ্রামের আ. মালেক মাতুব্বরের ছেলে।

ভুক্তভোগী জামাল মাতুব্বর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধায় প্রতিদিনের মত পুকুরের নিয়মিত খাবার দিয়ে বাড়িতে যায়। পরেরদিন শুক্রবার সকালে পুকুরে গিয়ে মাছ মরা অবস্থায় দেখতে পায়। জামাল মাতুব্বর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা পুকুরের মরা মাছ দেখতে পেয়ে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তারা পুকুরে পাশে (রাজটক্স ৫৭%) গ্যাস ট্যাবলেটের খোসা দেখতে পায়। এসময় তারা ১৬টি খোসা খুঁজে পায়। খোসা নিয়ে বাজারে গেলে সালথা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যাবসায়ী মানোয়ারের কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তারা জানতে পারে বৃহস্পতিবার বিকেলে আবুল বাসার তার কাছ থেকে একবক্স গাস ট্যাবলেট কিনে নিয়ে যায়। মুলত স্থানীয় আবুল বাসার ও কাজী জাকের কাজী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।

আবুল বাসার মুলত ইদুর তারানোর কথা বলে গ্যাস ট্যাবলেট নিয়েছিলো বলে দোকানদার মানোয়ার জানান। গ্যাস ট্যাবলেটের খালি খোশাগুলি কিছু পুকুরের পাড়ে এবং কিছু অভিযুক্তদের ভেসালের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন, মাছ নিধনের বিষটি দুঃখজনক। ভুক্তভোগীকে মৎস্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে এই বিষয়ে আইনগত সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন-

এই বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল বাসার মাতুব্বর বলেন, প্রতিবছর আমি একবক্স করে গ্যাস ট্যাবলেট কিনে হালি পেঁয়াজের ক্ষেতের চারপাশে দেই। এতে করে ঘুগড়াপোকা আসে না। আমার নিজের পুকুরেও মাছ মরে গেছে। পুকুরের পাশে আমাদের ভেসাল আছে। ষড়যন্ত্র করে কেউ গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আমরা কারো উপর হামলা করি নাই, উল্টো ওরাই আমাদের উপর হামলা করেছে।

সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে। পুলিশ ফিরে আসলে উভয় পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পুনরায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

দৈনিক প্রলয়/এমএআর