ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

স্বাস্থ্যখাতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

জামালপুর শহরের সর্দারপাড়ায় এমএ রশিদ নামে এক বেসরকারি হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে জেলার বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি। একই সঙ্গে মানববন্ধনে জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া হামলার তীব্র প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। এসব হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। মানববন্ধনে জেলার বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের বকুলতলায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জামালপুর বেসরকারি ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি হারুন-অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী, এমএ রশিদ হাসপাতালের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডা. মিজানুর রহমান, শাহ্জামাল জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল ও হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র.) হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমান সোহেল, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ইউনাইটেড ট্রাস্টের এমএ রশিদ হাসপাতালে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় দুই কর্মচারীদের মারধর করে তারা। অতর্কিতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করে। এতে ২জন কর্মচারী আহত হয়।

দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি দেখায়। বক্তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে জেলায় সব ধরনের বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্যখাতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

জামালপুর শহরের সর্দারপাড়ায় এমএ রশিদ নামে এক বেসরকারি হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে জেলার বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি। একই সঙ্গে মানববন্ধনে জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া হামলার তীব্র প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। এসব হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। মানববন্ধনে জেলার বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের বকুলতলায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জামালপুর বেসরকারি ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি হারুন-অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী, এমএ রশিদ হাসপাতালের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডা. মিজানুর রহমান, শাহ্জামাল জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল ও হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র.) হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমান সোহেল, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ইউনাইটেড ট্রাস্টের এমএ রশিদ হাসপাতালে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় দুই কর্মচারীদের মারধর করে তারা। অতর্কিতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করে। এতে ২জন কর্মচারী আহত হয়।

দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি দেখায়। বক্তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে জেলায় সব ধরনের বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।