সম্পদ বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছেন গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রশাসকরা
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর শত কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

- আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে থাকা বিপুল সম্পদের একটি অংশ বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রশাসকরা এ সম্পদ বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছেন, যাতে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তাঁর ঋণ পরিশোধ করা যায়।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর সোমবার (১১ আগস্ট) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাইফুজ্জামানের মালিকানাধীন ছয়টি আবাসন কোম্পানি যুক্তরাজ্যের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। এসব কোম্পানির মাধ্যমে তিনি লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের দক্ষিণুপূর্বের বিভিন্ন শহরে থাকা শত শত আবাসিক ভবন পরিচালনা করতেন। দেশটিতে তাঁর তিন শতাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭ কোটি পাউন্ড। অভিযোগ রয়েছে, ব্রিটেনে অর্থ পাচারের মাধ্যমে এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) চলতি বছরের জুনে সাইফুজ্জামানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ জব্দ করে। এর মধ্যে নর্থ লন্ডনের সেন্ট জনস উড এলাকায় ১১ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিলাসবহুল বাড়ি এবং সেন্ট্রাল লন্ডনের ফিটসরোভিয়ায় একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরভিত্তিক ডিবিএস ব্যাংক, ব্রিটিশ অ্যারাব কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক—এই তিন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে সাইফুজ্জামানের দায় প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থ ফেরত চাইছে।
বাংলাদেশে ছাত্রুজনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাইফুজ্জামানসহ দলীয় ঘনিষ্ঠ বহু ব্যক্তির দেশ-বিদেশে থাকা সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের বিপুল সম্পত্তির বিষয়টি সামনে আসে।
তবে সাবেক ভূমিমন্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি বৈধ অর্থে এসব সম্পদ ক্রয় করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আরো পড়ুন-
- চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
- সাংবাদিক তুহিন হত্যা ও আনোয়ার হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে ত্রিশালে মানববন্ধন
- আইনের শিথিলতায় বেড়ে চলেছে সাংবাদিকদের হত্যা, নির্যাতন ও হুমকি