ভাঙ্গায় সুন্দরী শিক্ষিকার পরকীয়ার বলী হলেন জনস্বাস্থ্যের কর্মচারী জুয়েল

- আপডেট সময় : ০৯:২০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পরকীয়ার বলি হয়েছেন ভাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারী।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখা-১ এর উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান তার অফিসিয়াল প্যাডে গত ২৮ জুলাই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জুয়েল সিকদারকে তাৎক্ষণিক বদলী করা হয়।
অভিযোগে মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তার স্ত্রী সালমা আক্তারী ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার অন্তর্গত ২৫ নং শরীফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। তিনি তার বাবার বাড়ি ঘারুয়া থেকে স্কুলে যাতায়াত করেন।
তিনি জানান, একই এলাকার ছেলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত (বর্তমানে তিনি ডেপুটেশনে ভাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত) মোঃ জুয়েল সিকদার বর্তমানে শরীফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত আছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীকে
বিদ্যালয়ের নিরাপদ পানির বিষয় সংশ্লিষ্ট কাজে মোঃ জুয়েল সিকদারকে সহযোগীতা করতে বলেন। নিরাপদ পানির কাজের সুবাদে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়।
সম্প্রতি মোঃ জুয়েল সিকদার আমার স্ত্রীকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আজেবাজে প্রস্তাব দেন। আমার স্ত্রী বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করেন এবং পরিত্রাণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
গত ২৭-০৭-২০২৫ খ্রি. তারিখ রাত ৮ টার সময় মোঃ জুয়েল সিকদার আমার স্ত্রীকে ঘারুয়া বাজার থেকে ম্যাসেজ দিতে দিতে চানপুট্টি আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দেন। আমার স্ত্রী অনলাইনে একটি মিটিংয়ে ছিলেন। শশুর বাড়িতে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মোঃ জুয়েল সিকদার নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে আমার স্ত্রীকে ফোনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে কিস দিবে এবং রাত্রে ধর্ষনের হুমকি দেন। আমার স্ত্রী বিষয়টি গোপনীয়তার সাথে আমাকে অবগত করেন।
শিক্ষিকা সালমা আক্তারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়া কোন কথা বলতে পারবো না। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কে জানতে চাইলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কথা বলেন।
ভাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, যে বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে তা তদন্তে প্রমান হয়নি। তারপরও তাকে তার দপ্তর অন্যত্র বদলী করা হয়েছে।