সোনাতলায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের

- আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ২৮০ বার পড়া হয়েছে
এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ
বগুড়ার সোনাতলায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সোনাতলা থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী।
মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক সোনাতলা পৌরসভার বাসিন্দা। সে ডেইলি বাংলাদেশ ও আলোকিত বগুড়া পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর সাবেক মেয়র জাহাঙ্গির আলম নান্নুকে সোনাতলা থানায় দেখতে তার শুভাকাঙ্খী-জনতা ভিড় করে থানা মসজিদের সামনে রাস্তার উপর এসময় তাদের ছবি তোলার জন্য আমার সহকর্মী সবুজ পকেট থেকে বের করে মোবাইল হাতে নেয়। এমন সময় জনতাদের মধ্যে একজন ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এ সময় সোনাতলা সিঙ্গার শোরুমের ম্যানেজার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাহীন ছুটে এসে ধমক দিয়ে বলে এখানে কি হয়েছে। সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক বলে আমার সহকর্মী সবুজ ছবি তোলার জন্য মোবাইলের ক্যামেরা বাহির করেছে তাই। তখন তিনি ধমক দিয়ে বলেন এখানে কোন ছবি তোলা যাবে না। তখন সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক ও সবুজকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় সকল আসামিরা বেআইনি ভাবে দলবদ্ধ হয়ে এগিয়ে এসে রাস্তা আটকে আসামিরা বলে তুই নিউজ করছিস বলে পিছন থেকে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আসামিরা সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাককে মারপিট করে মাটিতে ফেলে তার ব্যবহৃত ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা আসামিদের হাত থেকে রাজ্জাক ও সবুজকে প্রাণনাশের কবল থেকে রক্ষা করে। এসময় আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে তাঁদের উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। এখনো মোবাইল ফোন ফেরত দেয়নি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী বলেন, চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। সবাই পলাতক আছে।