মাটি খেকোদের জন্য হুমকিতে ফুলবাড়ীয়ার কৃষি

- আপডেট সময় : ০৬:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১২২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নিজ পাড়া এলাকায় ফসলি জমির মাটি বিক্রি করায় আশপাশের ফসলি জমির কৃষকেরা বিপাকে পড়েছে। জানাগেছে, স্থানীয় মোজাম্মেল এর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জমি মালিকদের প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমির উপরাংশের মাটি রাতের আঁধারে বিক্রি করে আসছে। এসব জমি থেকে মাটি কেটে গভীর করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আসপাশের অন্যান্য কৃষকরা।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখাযায় পলাশতলী নিজ পাড়া এলাকায় ফসলি জমির মালিকদের সাথে কথা বলে পাওয়া যায় মাটি কাটার চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাটি খেকোদের কবলে পড়ে দুই ফসলি উর্বর জমিগুলো ডোবা-নালায় পরিণত হচ্ছে। মাটি কাটার মহোৎসবে জমি গভীর করে পাশের উঁচু জমি মালিকদের অনেকটা বাধ্য করা হচ্ছে মাটি বিক্রিতে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষক শামছুল হক বলেন, মাটি কাটার শুরুতেই আমরা মাটি কাটতে বাধা দেই। তারা আমাদের বাধা মানেনি। মাটি খেকু মোজাম্মেল দালাল তার দলবল নিয়ে রাতের আঁধারে ভ্যেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটেন।
ফসলি জমির সুরক্ষার জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে প্রশাাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। এ ঘটনায় দালাল চক্র আরও বেশি ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে তাকেসহ প্রতিবাদকারীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও তিনি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, মাটি বিক্রয়কারী দালাল মোজাম্মেল খুবই প্রভাবশালী। আমরা বাধা দিলে বলে উপরের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটতেছি। তার কাজ কেউ নিষেধ করতে পারবে না। কৃষকেরা কথা বললে তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল জানান, মাটি বিক্রির অনিমতি নেয়নি, অনুমতি নিবো।
আমি অনেক দিন ধরেই এ ব্যবসা করতেছি, কীভাবে কী করতে হবে আমি সবকিছুই জানি। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন অতিসত্বর মাটি কাটা বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, মাটি বিক্রি করায় জমির টপ সয়েল চলে যাচ্ছে। জমিতে চাষাবাদ ছাড়া টপ সয়েল তৈরী হতে অন্তত ২০ বছর সময় লাগে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে বেকুদিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে শতাধিক কাগজপত্র বিহীন অবৈধ লরি ড্রাম ট্রাক দিয়ে। স্থানীয় প্রসাশন ব্যবস্থা গ্রহন করলে এমন হতো না। মাটি খেকোদের দমন না করলে ভবিষ্যতে কৃষি হুমকিতে পড়বে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়রা চৌধুরী বলেন, অবৈধ ভাবে যারা মাটি কাটতেছে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।