ফরিদপুরে বাস মালিক গ্রুপের সভাপতিকে হত্যাচেষ্টায় আটক ২

- আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
ওয়াহিদুজ জামান, ক্রাইম রিপোর্টার
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর (৫০) এর ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ধারালো অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) শহরের গোয়ালচামট মডেল মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটকৃতরা হলেন, শহরের রঘুনন্দনপুরের সাত্তার শেখে ছেলে রিপন শেখ ও রথখোলা এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার। এর মধ্যে রিপন শেখ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মো. নাছিরের সহযোগী বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, সন্ধ্যায় মডেল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হন পার্শ্ববর্তী রথখোলা এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী। মসজিদের গেটে আসা মাত্র চার থেকে পাঁচজন তার ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। একজন মাফলার দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ফেলে। এ সময় রেজাউল করিম সজল নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। এরপরই মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। লোকজন রিপন শেখকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহত রেজাউল করিম বলেন, ‘মাগরিবের নামাজ শেষে হঠাৎ দেখি ওনাকে (কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী) মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ফেলেছে। তখন আমি ঠেকানোর চেষ্টা করলে ওরা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এরপরই রামদা দিয়ে কোপ দিতে গেলে আমি ধরে ফেলি। তখন আমার হাতর কনুইয়ের অংশ কেটে যায়।
হামলার শিকার কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে চিনতে পেরেছি। রাজনৈতিক কারণে আমার ওপর এই হামলা হয়েছে। আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকে বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এতে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে আজ এ ঘটনা ঘটায়। পূর্বেও চক্রটি আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
জানতে চাইলে ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, সন্ধ্যা পরেই বিষয়টি আমি জানতে পারি। তখন পুলিশ পাঠানো হলে স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরবর্তীতে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।