ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হচ্ছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে
নেওয়াজ আহমেদ পরশ, গোপালগঞ্জ
গুচ্ছ থেকে বের হয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২৪-২০২৫) থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া গত ২ অক্টোবর ও ১৪ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক সাধারণ সভায় শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কারণ হিসেবে জানানো হয়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে গুচ্ছের কারিগরি ত্রুটির জন্য আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর নাম চলে আসে, যা জটিল সমস্যা ধারন করে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় থাকতে অনীহা তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়, জরিপে প্রায় শতভাগ শিক্ষক গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযোগী নয় বলে মতামত দেন। ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক আগের মতো নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে মত দেন। এ ছাড়া ৩ শতাংশ শিক্ষক পরিবর্তন সাপেক্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে বলে মতামত দেন। ওই বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক সভায় বর্তমান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জরিপটির ফলাফল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার দাবির পেছনে ছয়টি কারণ উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮১ শতাংশ গুচ্ছ ভর্তিতে সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রতা এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও আনুষঙ্গিক ভোগান্তিকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে না চাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ৬৩ শতাংশ একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণে অসুবিধা, ৫৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা, ৫৩ শতাংশ সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব এবং ৫১ শতাংশ আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, আজ আমাদের একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব পদ্ধতিতে নেব। নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি ও কোটা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত নোটিশের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হচ্ছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
নেওয়াজ আহমেদ পরশ, গোপালগঞ্জ
গুচ্ছ থেকে বের হয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২৪-২০২৫) থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া গত ২ অক্টোবর ও ১৪ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক সাধারণ সভায় শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কারণ হিসেবে জানানো হয়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে গুচ্ছের কারিগরি ত্রুটির জন্য আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর নাম চলে আসে, যা জটিল সমস্যা ধারন করে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় থাকতে অনীহা তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়, জরিপে প্রায় শতভাগ শিক্ষক গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযোগী নয় বলে মতামত দেন। ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক আগের মতো নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে মত দেন। এ ছাড়া ৩ শতাংশ শিক্ষক পরিবর্তন সাপেক্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে বলে মতামত দেন। ওই বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক সভায় বর্তমান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জরিপটির ফলাফল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার দাবির পেছনে ছয়টি কারণ উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮১ শতাংশ গুচ্ছ ভর্তিতে সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রতা এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও আনুষঙ্গিক ভোগান্তিকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে না চাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ৬৩ শতাংশ একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণে অসুবিধা, ৫৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা, ৫৩ শতাংশ সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব এবং ৫১ শতাংশ আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, আজ আমাদের একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব পদ্ধতিতে নেব। নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি ও কোটা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত নোটিশের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।