পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসর শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার (২৫ মে) কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স ও লাহোর কালান্দার্সের ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পিএসএল। টুর্নামেন্ট জয়ের ট্রফি হাতে শাহিন শাহ আফ্রিদির বিজয়মুখ, পাশে উল্লাসে ফেটে পড়া সতীর্থরা—এমন ছবিই ধরা পড়েছে ২০২৫ পাকিস্তান সুপার লিগ ফাইনালের শেষে। তবে কেবলই ট্রফি নয়, এমন জয়ের পেছনে থাকে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কারও। মাসব্যাপী জমজমাট এ টুর্নামেন্টে ছিল পুরস্কারে ছড়াছড়ি। এ তালিকায় ছিল বিপুল অর্থ ও আকর্ষণীয় পুরস্কার।

ফাইনালে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে লাহোর কালান্দার্স। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দলটি পেয়েছে ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।

অন্যদিকে রানার্সআপ কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সও খালি হাতে ফেরেনি। তারা পেয়েছে ২ লাখ মার্কিন ডলার বা ৫ কোটি ৬০ লাখ পাকিস্তানি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু পুরস্কার। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন কোয়েটার ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাসান নেওয়াজ। তিনি ‘টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ৩৯৯ রান করা নেওয়াজ পেয়েছেন ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং একটি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, বিওয়াইডি সিল মডেলের।

এখানেই থেমে নেই নেওয়াজের প্রাপ্তি। টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি পেয়েছেন আরও ৩৫ লাখ রুপি। অর্থাৎ পুরস্কার তালিকায় ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ অর্থ পেয়েছেন এ তরুণ। এ ছাড়া সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন লাহোর অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। তিনি পেয়েছেন ৩৫ লাখ রুপি।

সেরা ফিল্ডার হয়েছেন আবদুস সামাদ, তিনিও পেয়েছেন একই পরিমাণ অর্থ। সেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন সিকান্দার রাজা, যিনি ফাইনালের আগমুহূর্তে ইংল্যান্ড থেকে এসে বল ও ব্যাট হাতে ম্যাচ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনিও পেয়েছেন ৩৫ লাখ রুপি। সেরা উইকেটকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ হারিস। আর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। এই দুই খেলোয়াড়ও পেয়েছেন ৩৫ লাখ রুপি করে।