সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০২:২৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৮৩ বার পড়া হয়েছে
গাজিপুরের চান্দীনা চৌরাস্তায় কুপিয়ে ও জবাই করে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দূষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছে ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাবের সাংকাদিকবৃন্দ। এসময় ফুলবাড়িয়া ছাড়াও জেলার প্রিন্ট ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
শুক্রবার ( ৮ আগষ্ট) ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন হত্যাকন্ডের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দেখা গেলেও এখনো কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিদের সাংবাদিকরা। অকাল প্রয়াত এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে পুরো ফুলবাড়ীয়ায় গভীর শোক নেমে এসেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গাজীপুর ঈদগাঁ মাঠে জুমার নামাজের পর সাংবাদিক তুহিনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে পরে বাদ আছ নিজ গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়িয়ার মধ্য ভাটিপাড়া গ্রামে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
নিহত তুহিন স্থানীয় বাসিন্দা হাসান জামিল ও সাহাবিয়া খাতুন বকুল দম্পতির ২ মেয়ে ও ৫ ছেলের মধ্যে সবার ছোট। স্থানীয় আল হেরা একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে মাধ্যমিক পাশ করে। এরপর সিলেট কোম্পানিগঞ্জের এম. সাইফুর রহমান কলেজ থেকে ২০০৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস শুরু করে। বছরে এক বা দুইবার গ্রামে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসত। সে ভালো মন মানসিকতার মানুষ ছিল। তার এমন মৃত্য কেউ কল্পনাও করেনি। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তুহিনের বন্ধু মো: আজিজুর রহমান বলেন, গাজীপুরে স্ত্রী মুক্তা বেগম ও দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে বসবাস করত তুহিন। এর মধ্যে বড় ছেলের বয়স ৭ আর ছোট ছেলের বয়স ৩ বছর। গাজীপুরে চন্দনা চৌরাস্তায় দৈনিক প্রতিদিন কাগজে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরো পড়ুন-
- গাজীপুরে সাংবাদিক আনোয়ারের উপর নৃশংস হামলার পর তুহিনকে জবাই করে হত্যা
- ভূমি অফিসে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন সাংবাদিক আটক
- আ.লীগ যা করেছে, বিএনপি করলে একই পরিণতি হবে: মেজর হাফিজ