ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিগত সময়ের ঋণখেলাপি, ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২০২ বার পড়া হয়েছে

ছবি: দৈনিক প্রলয়

প্রলয় ডেস্ক

বিগত সরকারের আমলে নামী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নামে-বেনামে এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে বের করে নিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। স্বভাবতই এমন প্রতিটি কোম্পানিই এখন ঋণখেলাপি।

জানা যায়, এসব ছাড়াও ব্যাংক খাতে শীর্ষ ৩০ ঋণখেলাপির একটি তালিকা গত ২৪ জুন তথা বিগত সরকারের সময়ে সংসদ অধিবেশনে উত্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ওই তালিকায় রাঘববোয়ালদের কারও নামই অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এর আগে ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদে যে শীর্ষ ২০ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়, সেখানেও কোনো বড় খেলাপির নাম আসেনি।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০১৯ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সুবিধা দেওয়ার কারণে বড় ঋণখেলাপিরা আড়ালে থেকে যান। এভাবে একই সুবিধা ব্যবহার করে রাঘববোয়ালরা বরাবরই তালিকা থেকে বের হয়ে গেছেন। ঋণখেলাপিদের প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, অস্থিরতা কমিয়ে ব্যাংকগুলো সচল করা এবং এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এরপর ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য ব্যাংক কমিশন গঠিত হলে ঋণখেলাপিদের বিষয়টিও আসবে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো যে জরুরি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। একইসঙ্গে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, তারা আইনের আওতায় আসবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। তবে তা বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে সফলতার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে পড়বে।

বিগত সরকারের সময়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও খেলাপি ঋণের কারণে দেশের অর্থনীতিতে কত রকমের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রকাশ্য। সংকট সমাধানে তাই সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত বিশেষ কমিশন গঠন অথবা বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। একইসঙ্গে দুর্নীতিবাজদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত ও বিচার করে কঠিন শাস্তি নিশ্চিতের প্রক্রিয়াও বেগবান করা দরকার।

বস্তুত দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, ব্যাংক খাতে লুট ও নৈরাজ্য, খেলাপি ঋণের বিশাল পাহাড় দেশের অর্থনীতিতে সংকট বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনার বিকল্প নেই। যেহেতু এখন রাজনৈতিক সরকার নেই এবং রাজনৈতিক প্রভাবও নেই, সেহেতু বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির পাশাপাশি যেসব ঋণখেলাপির ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময় বলে আমরা মনে করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিগত সময়ের ঋণখেলাপি, ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রলয় ডেস্ক

বিগত সরকারের আমলে নামী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নামে-বেনামে এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে বের করে নিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। স্বভাবতই এমন প্রতিটি কোম্পানিই এখন ঋণখেলাপি।

জানা যায়, এসব ছাড়াও ব্যাংক খাতে শীর্ষ ৩০ ঋণখেলাপির একটি তালিকা গত ২৪ জুন তথা বিগত সরকারের সময়ে সংসদ অধিবেশনে উত্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ওই তালিকায় রাঘববোয়ালদের কারও নামই অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এর আগে ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদে যে শীর্ষ ২০ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়, সেখানেও কোনো বড় খেলাপির নাম আসেনি।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০১৯ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সুবিধা দেওয়ার কারণে বড় ঋণখেলাপিরা আড়ালে থেকে যান। এভাবে একই সুবিধা ব্যবহার করে রাঘববোয়ালরা বরাবরই তালিকা থেকে বের হয়ে গেছেন। ঋণখেলাপিদের প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, অস্থিরতা কমিয়ে ব্যাংকগুলো সচল করা এবং এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এরপর ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য ব্যাংক কমিশন গঠিত হলে ঋণখেলাপিদের বিষয়টিও আসবে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো যে জরুরি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। একইসঙ্গে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, তারা আইনের আওতায় আসবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। তবে তা বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে সফলতার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে পড়বে।

বিগত সরকারের সময়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও খেলাপি ঋণের কারণে দেশের অর্থনীতিতে কত রকমের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রকাশ্য। সংকট সমাধানে তাই সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত বিশেষ কমিশন গঠন অথবা বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। একইসঙ্গে দুর্নীতিবাজদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত ও বিচার করে কঠিন শাস্তি নিশ্চিতের প্রক্রিয়াও বেগবান করা দরকার।

বস্তুত দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, ব্যাংক খাতে লুট ও নৈরাজ্য, খেলাপি ঋণের বিশাল পাহাড় দেশের অর্থনীতিতে সংকট বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনার বিকল্প নেই। যেহেতু এখন রাজনৈতিক সরকার নেই এবং রাজনৈতিক প্রভাবও নেই, সেহেতু বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির পাশাপাশি যেসব ঋণখেলাপির ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময় বলে আমরা মনে করি।