ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কুরস্কে ইউক্রেনীয় আক্রমণ পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি ঠেকাতে পারেনি: পুতিন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে

ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আক্রমণ রাশিয়ার পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রগতি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে কিয়েভের ফ্রন্টলাইন প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়েছে, যা মস্কোর জন্য লাভজনক।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভ্লাদিভস্তকে অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

পুতিন বলেছেন, রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হটিয়ে দিচ্ছে।

গত ৬ আগস্ট ইউক্রেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালায় কুরস্কে। তবে এই আক্রমণ রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলে অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে।

পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ার মূল লক্ষ্য ডনবাসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। শত্রুর লক্ষ্য ছিল আমাদের মনোবল দুর্বল করা এবং আমাদের সেনা মোতায়েনের কৌশল বাধাগ্রস্ত করা। মূলত ডনবাসে আমাদের অগ্রগতি থামানো। কিন্তু তারা সফল হয়নি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেওয়া পুতিন বলেন, এখন সশস্ত্র বাহিনীর ‘পবিত্র দায়িত্ব’ হলো কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়া এবং রুশ নাগরিকদের রক্ষা করা।

ইউক্রেনের শীর্ষ সেনা কমান্ডার জেনারেল ওলেকসান্দ্র সিরস্কি জানিয়েছেন, কুরস্ক অভিযানের একটি উদ্দেশ্য ছিল রুশ বাহিনীকে অন্য এলাকা থেকে সরিয়ে আনা। বিশেষ করে পূর্ব ইউক্রেনের পোকরোভস্ক ও কুরাখোভ শহরগুলোর কাছে।

যদিও কুরস্ক আক্রমণ পুতিন ও রুশ সামরিক নেতৃত্বের জন্য বিব্রতকর ছিল। তবে রুশ কর্মকর্তারা এখন এটিকে কিয়েভের বড় কৌশলগত ভুল হিসেবে হাজির করছেন। তাদের মতে, এতে ইউক্রেন হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে সামান্য সফলতা পেয়েছে।

পুতিন বলেন, শত্রু আমাদের সীমান্ত এলাকায় তাদের বড় ও প্রশিক্ষিত ইউনিট পাঠিয়ে মূল এলাকায় নিজেদের দুর্বল করেছে, আর আমাদের বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হতে পেরেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনের অবস্থান ধরে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি তাদের বিজয় পরিকল্পনার একটি অংশ।

পুতিন জানান, রাশিয়ার বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে আগের চেয়ে দ্রুত এলাকা দখল করছে এবং রাশিয়ায় সেনা মোতায়েন বাড়ছে।

পুতিন আরও বলেন, আমাদের আক্রমণ ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের পোকরোভস্ক শহরে সফলভাবে অগ্রসর হচ্ছে।

রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং কিয়েভের ২০২৩ সালের পাল্টা আক্রমণ বড় ধরনের সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে।

যদিও ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার শর্ত এখনও তৈরি হয়নি। পুতিন চীন, ভারত ও ব্রাজিলকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুরস্কে ইউক্রেনীয় আক্রমণ পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি ঠেকাতে পারেনি: পুতিন

আপডেট সময় : ০৭:২৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আক্রমণ রাশিয়ার পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রগতি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে কিয়েভের ফ্রন্টলাইন প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়েছে, যা মস্কোর জন্য লাভজনক।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভ্লাদিভস্তকে অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

পুতিন বলেছেন, রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হটিয়ে দিচ্ছে।

গত ৬ আগস্ট ইউক্রেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালায় কুরস্কে। তবে এই আক্রমণ রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলে অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে।

পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ার মূল লক্ষ্য ডনবাসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। শত্রুর লক্ষ্য ছিল আমাদের মনোবল দুর্বল করা এবং আমাদের সেনা মোতায়েনের কৌশল বাধাগ্রস্ত করা। মূলত ডনবাসে আমাদের অগ্রগতি থামানো। কিন্তু তারা সফল হয়নি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেওয়া পুতিন বলেন, এখন সশস্ত্র বাহিনীর ‘পবিত্র দায়িত্ব’ হলো কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়া এবং রুশ নাগরিকদের রক্ষা করা।

ইউক্রেনের শীর্ষ সেনা কমান্ডার জেনারেল ওলেকসান্দ্র সিরস্কি জানিয়েছেন, কুরস্ক অভিযানের একটি উদ্দেশ্য ছিল রুশ বাহিনীকে অন্য এলাকা থেকে সরিয়ে আনা। বিশেষ করে পূর্ব ইউক্রেনের পোকরোভস্ক ও কুরাখোভ শহরগুলোর কাছে।

যদিও কুরস্ক আক্রমণ পুতিন ও রুশ সামরিক নেতৃত্বের জন্য বিব্রতকর ছিল। তবে রুশ কর্মকর্তারা এখন এটিকে কিয়েভের বড় কৌশলগত ভুল হিসেবে হাজির করছেন। তাদের মতে, এতে ইউক্রেন হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে সামান্য সফলতা পেয়েছে।

পুতিন বলেন, শত্রু আমাদের সীমান্ত এলাকায় তাদের বড় ও প্রশিক্ষিত ইউনিট পাঠিয়ে মূল এলাকায় নিজেদের দুর্বল করেছে, আর আমাদের বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হতে পেরেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনের অবস্থান ধরে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি তাদের বিজয় পরিকল্পনার একটি অংশ।

পুতিন জানান, রাশিয়ার বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে আগের চেয়ে দ্রুত এলাকা দখল করছে এবং রাশিয়ায় সেনা মোতায়েন বাড়ছে।

পুতিন আরও বলেন, আমাদের আক্রমণ ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের পোকরোভস্ক শহরে সফলভাবে অগ্রসর হচ্ছে।

রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং কিয়েভের ২০২৩ সালের পাল্টা আক্রমণ বড় ধরনের সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে।

যদিও ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার শর্ত এখনও তৈরি হয়নি। পুতিন চীন, ভারত ও ব্রাজিলকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।