ভাঙ্গায় জোরপূর্বক ভাতিজার বসতঘর দখলে নিলেন আপন চাচা

- আপডেট সময় : ১০:৪০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৯২ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর ভাঙ্গায় জোরপূর্বক ভাতিজার বসতঘর দখল ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন চাচার বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ভাঙ্গা পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডের কুটিবাড়ী চরকান্দা গ্রামে এঘটনায় ঘটে। এঘটনায় ভাতিজা নাসির খানঁ লিয়ন বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে দায়সারা কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবারটি।
এ বিষয় লিয়ন অভিযোগ করে বলেন, আমার আপন চাচা কবির খাঁনের সাথে বসতবাড়ির জমি নিয়ে কোর্টে মামলা মোকাদ্দমা চলছে। শুনেছি আমার চাচারা জায়গা দখল করে ঝগড়া-বিবাদ করবে। এই শঙ্কায় আমার পরিবারকে শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেই। আমি আজ জরুরী কাজে ঢাকায় যাই। চাচার লোকজন বসতঘর ফাঁকা পেয়ে হটাৎ আজ দুপুরে আপন চাচাতো ভাইয়েরা ও গ্রামের তৃতীয় একটি পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে আমার তিনটি বসতঘর দখল করেন।
এ সময় কাঁচাপাকা রান্না ঘরের চালার টিন, বেড়া, খুঁটিগুলি ভাংচুরসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে থাকা বসতবাড়ি সংলগ্ন বাশেঁর ঝাড় থেকে শতাধিক বাশঁ কেটে নিয়ে জমি দখল করে। এক পর্যায়ে, খবর পেয়ে আমার বৃদ্ধ মা ও দুই বোন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, চাচাতো ভাইয়েরা সহ প্রতিপক্ষের লোকজন বসতঘর দখল ও ভাঙচুর করছে।
এ ব্যাপারে লিয়নের বৃদ্ধা মা ফরিদা বেগম ও বোন লিপি জানান, আপন চাচা কবির খাঁন, তাঁর ছেলে সুমন খাঁন, ডালু খাঁন, সনিল খাঁন, কাজল সহ প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের বসতঘরে তালা মেরে দখলসহ ভাংচুর চালায়। এতে বাধা দিলে তাদের উপর চড়াও হয় দখলকারিরা। এ ঘটনার পর থেকে লিয়ন তাঁর বৃদ্ধ মা ও পরিবার নিয়ে অন্যত্র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে মানবেতর জীবন কাটছে তাদের।
এ ঘটনায় একটি ন্যায় বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগিরা।
অভিযুক্ত কবির খাঁনের ছেলে সাব্বির হোসেন জানান, বাড়ির জমির মধ্যে বিরোধকৃত প্রায় ৮ শতাংশ জমি আমার বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। বাবা পরে আমাকে লিখে দিছে। এই জমি নিয়ে ভাঙ্গা পৌর সভায় একাধিকবার শালিস দরবার হয়েছে। তারা আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। তাই ওই জমিতে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলার জন্য শ্রমিক দিয়ে বাশঁঝাড় কাটা হচ্ছে এবং রান্না ঘর ভাঙা হয়েছে। বসত ঘরে তালা দিয়েছি। আমার জায়গায় ঘর দরজা সবই আমার।
এবিষয় গ্রাম্য মাতবরের মধ্যে মোঃ বেলায়েত হোসেন জানায়, বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে কিন্তু সমাধান হয়নি। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল ইসলাম জানান, বসতঘর জবর দখলের একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই।
বিসয়টি তদন্তর জন্য একজন এসআই নিয়োগ করা হয়েছে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।