ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে মহামিছিল

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩২৭ বার পড়া হয়েছে

সমরেশ রায়, কলকাতা

আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে, ঠিক বিকেল তিনটায়, কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা রানী রাসমণি পর্যন্ত বিশাল মিছিল কর।

মিছিলে অংশ নেন, বিভিন্ন হসপিটালে জুনিয়র ডাক্তার, নার্স, অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং সাধারণ মানুষ। কয়েক হাজার মানুষের সমাগমে আজকের এই মহা মিছিল তারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন, দোষীদের শাস্তি চাই, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই, সন্দীপ ঘোষের বিচার চাই।

 আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে মহামিছিল
আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে মহামিছিল

মিছিলে প্রত্যেকের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগানের পোস্টার ও প্রতিবাদের পোস্টার, শুধু তাই নয় তারা প্রশাসনের লোকেদেরও ধিক্কার জানালেন, এবং বললেন আপনার বাড়িতেও মেয়ে আছে । কয়েক হাজার ছেলে মেয়ে এই মিছিলে অংশ নেন।

তাদের দাবিগুলির হলো….

ভিকটিম ব্লেমিং কাকে বলে ,স্পষ্ট করে জানাতে হবে, এবং সেটিকে আইনের আওতায় আনতে হবে

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি গুলি নিঃশর্তভাবে মানতে হবে।

fast trak কোর্টের মাধ্যমে অমীমাংসিত ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার কেস গুলির অতি দ্রুত মীমাংসা করতে হবে।

রাতে হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্রামাগার চাই।

প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইসিসি ও স্থানীয় এলাকায় এলসিসি করতে হবে এবং তা নিরপেক্ষ স্বচ্ছ রাখতে হবে।

স্কুল পাঠ্যে লিঙ্গ সাম্যর এবং মানবাধিকার বিষয় গুলিকে আবশ্যক করতে হবে।

রাজ্যে সর্বত্র সুলভ শৌচালয় ও সুরক্ষিত গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা।

সিবিআইকে আর জি কর এর স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক ও বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেফতার করতে হবে।

ঘটনার সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দায়িত্ব হীনতা এবং সেই সময় ঘটনাস্থলে এভিডেন্স টেম্পারিং এর জন্য তাকে ও বাকি দোষীদের অবিলম্বে খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেট রাজ উড়ে ফেলতে হবে।

দিনে ও রাতে যে কোন সময়ে, গণ পরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের, চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার দিতে হবে।

নিয়ন্ত্রণ নয় নজরদারি নয় কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের সমমর্যাদা দিতে হবে।

এই সকল দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, আরেকদিকে তারা তাদের দিদি অভয়ার দোষীদের শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

তারা জানান, ২৫ দিন হতে যায় এখনো পর্যন্ত কোনো দোষীর শাস্তি হলো না। ‌অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত শেষ করে দোষীদের সামনে আনতে হবে এবং তাদের শাস্তি দিতে হবে। যারা আমাদের দিদিকে নৃশংসভাবে ডিউটিরত অবস্থায় খুন করেছে ও ধর্ষণ করেছে, আমরা সবাই তিলোত্তমার পাশে আছি, অভয়ার পাশে আছি, আন্দোলন থামবে না।

আন্দোলনের ফলে সারা কলকাতা একদিকে যেমন লণ্ডভণ্ড অন্যদিকে যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কলকাতা শহর সারা জেলা ও পশ্চিমবঙ্গে মিছিল মিটিং এর ফলে সাধারণ মানুষ একদিকে যেমন বিপদে অন্যদিকে তারাও চায় অভয়ার বিচার। প্রশাসন নির্বিকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে মহামিছিল

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সমরেশ রায়, কলকাতা

আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে, ঠিক বিকেল তিনটায়, কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা রানী রাসমণি পর্যন্ত বিশাল মিছিল কর।

মিছিলে অংশ নেন, বিভিন্ন হসপিটালে জুনিয়র ডাক্তার, নার্স, অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং সাধারণ মানুষ। কয়েক হাজার মানুষের সমাগমে আজকের এই মহা মিছিল তারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন, দোষীদের শাস্তি চাই, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই, সন্দীপ ঘোষের বিচার চাই।

 আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে মহামিছিল
আমরা তিলোত্তমা, এই দাবীকে সঙ্গে নিয়ে মহামিছিল

মিছিলে প্রত্যেকের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগানের পোস্টার ও প্রতিবাদের পোস্টার, শুধু তাই নয় তারা প্রশাসনের লোকেদেরও ধিক্কার জানালেন, এবং বললেন আপনার বাড়িতেও মেয়ে আছে । কয়েক হাজার ছেলে মেয়ে এই মিছিলে অংশ নেন।

তাদের দাবিগুলির হলো….

ভিকটিম ব্লেমিং কাকে বলে ,স্পষ্ট করে জানাতে হবে, এবং সেটিকে আইনের আওতায় আনতে হবে

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি গুলি নিঃশর্তভাবে মানতে হবে।

fast trak কোর্টের মাধ্যমে অমীমাংসিত ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার কেস গুলির অতি দ্রুত মীমাংসা করতে হবে।

রাতে হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্রামাগার চাই।

প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইসিসি ও স্থানীয় এলাকায় এলসিসি করতে হবে এবং তা নিরপেক্ষ স্বচ্ছ রাখতে হবে।

স্কুল পাঠ্যে লিঙ্গ সাম্যর এবং মানবাধিকার বিষয় গুলিকে আবশ্যক করতে হবে।

রাজ্যে সর্বত্র সুলভ শৌচালয় ও সুরক্ষিত গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা।

সিবিআইকে আর জি কর এর স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক ও বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেফতার করতে হবে।

ঘটনার সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দায়িত্ব হীনতা এবং সেই সময় ঘটনাস্থলে এভিডেন্স টেম্পারিং এর জন্য তাকে ও বাকি দোষীদের অবিলম্বে খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেট রাজ উড়ে ফেলতে হবে।

দিনে ও রাতে যে কোন সময়ে, গণ পরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের, চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার দিতে হবে।

নিয়ন্ত্রণ নয় নজরদারি নয় কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের সমমর্যাদা দিতে হবে।

এই সকল দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, আরেকদিকে তারা তাদের দিদি অভয়ার দোষীদের শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

তারা জানান, ২৫ দিন হতে যায় এখনো পর্যন্ত কোনো দোষীর শাস্তি হলো না। ‌অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত শেষ করে দোষীদের সামনে আনতে হবে এবং তাদের শাস্তি দিতে হবে। যারা আমাদের দিদিকে নৃশংসভাবে ডিউটিরত অবস্থায় খুন করেছে ও ধর্ষণ করেছে, আমরা সবাই তিলোত্তমার পাশে আছি, অভয়ার পাশে আছি, আন্দোলন থামবে না।

আন্দোলনের ফলে সারা কলকাতা একদিকে যেমন লণ্ডভণ্ড অন্যদিকে যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কলকাতা শহর সারা জেলা ও পশ্চিমবঙ্গে মিছিল মিটিং এর ফলে সাধারণ মানুষ একদিকে যেমন বিপদে অন্যদিকে তারাও চায় অভয়ার বিচার। প্রশাসন নির্বিকার।