ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভাঙ্গায় শিক্ষাবর্ষ সমাপনী উৎসবে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কর্ম প্রদর্শন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে

ছানোয়ার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক শিশু একাডেমি নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উৎসবমুখর পরিবেশে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটির ২ দিন ব্যাপী বার্ষিক শিক্ষাবর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠান  বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে।

চিত্তরঞ্জন ভৌমিক শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই শত শত কচিকাঁচা শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টি সরগরম হয়ে উঠে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মননশীল মেধা বিকাশের জন্য তাদের সৃজনশীল হাতের কাজের প্রদর্শণ করা হয়। প্রসঙ্গতঃ উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আকনবাড়িয়া গ্রামে ২০১০ সালে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক প্রতিষ্ঠিত প্রথমে এটি শিশুদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও বিদ্যালয়টি এখন নবম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাক্রম চালু করেছে।

বিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ৩০ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল বিভিন্ন কর্ম এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা,তরুন ও সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিদ্যালয়টির সুনাম ইতমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।বিশাল জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদ সুচারুরুপে তদারকির মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে বলে সবার প্রত্যাশা।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রেহানা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি করিয়েছি। অত্যন্ত দক্ষ এবং সুশৃঙ্খলভাবে আমার সন্তান বেড়ে উঠছে।একই অভিমত দেন শাহানা বেগম,সুমী আক্তার রুম্পা চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন অভি়ভাবক। বিদ্যালয়টির পরিচালক কুমারেশ ভৌমিক জানান,আমরা এলাকার লোকজনের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে বিদ্যালয়টি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এজন্য অপেক্ষাকৃত তরুণ, মার্জিত,রুচিসম্মত শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছি। তাছাড়া বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের মধ্যে সবাই মাস্টার্স ডিগ্রীধারী। তাছাড়া আধুনিক কারিকুলাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।

প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চক্রবর্তী জানান,বিদ্যালয়টির দক্ষ পরিচালক, শিক্ষকমন্ডলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে বিদ্যালয়টির মাধ্যেমে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের উদ্যেশ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাঙ্গায় শিক্ষাবর্ষ সমাপনী উৎসবে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কর্ম প্রদর্শন

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

ছানোয়ার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক শিশু একাডেমি নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উৎসবমুখর পরিবেশে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটির ২ দিন ব্যাপী বার্ষিক শিক্ষাবর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠান  বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে।

চিত্তরঞ্জন ভৌমিক শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই শত শত কচিকাঁচা শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টি সরগরম হয়ে উঠে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মননশীল মেধা বিকাশের জন্য তাদের সৃজনশীল হাতের কাজের প্রদর্শণ করা হয়। প্রসঙ্গতঃ উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আকনবাড়িয়া গ্রামে ২০১০ সালে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক প্রতিষ্ঠিত প্রথমে এটি শিশুদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও বিদ্যালয়টি এখন নবম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাক্রম চালু করেছে।

বিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ৩০ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল বিভিন্ন কর্ম এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা,তরুন ও সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিদ্যালয়টির সুনাম ইতমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।বিশাল জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদ সুচারুরুপে তদারকির মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে বলে সবার প্রত্যাশা।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রেহানা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি করিয়েছি। অত্যন্ত দক্ষ এবং সুশৃঙ্খলভাবে আমার সন্তান বেড়ে উঠছে।একই অভিমত দেন শাহানা বেগম,সুমী আক্তার রুম্পা চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন অভি়ভাবক। বিদ্যালয়টির পরিচালক কুমারেশ ভৌমিক জানান,আমরা এলাকার লোকজনের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে বিদ্যালয়টি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এজন্য অপেক্ষাকৃত তরুণ, মার্জিত,রুচিসম্মত শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছি। তাছাড়া বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের মধ্যে সবাই মাস্টার্স ডিগ্রীধারী। তাছাড়া আধুনিক কারিকুলাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।

প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চক্রবর্তী জানান,বিদ্যালয়টির দক্ষ পরিচালক, শিক্ষকমন্ডলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে বিদ্যালয়টির মাধ্যেমে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের উদ্যেশ্য।