ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভাঙ্গুড়ায় সরিষা ফুলের সমারোহ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেদী হাসান, ভাঙ্গুড়া

পৌষের সকালে শিশির ভেজা ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষা ফুলের হলুদ রঙে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্য। সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে দেশের উত্তরের জেলা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ সরিষার মাঠে একদিকে চলছে মধু সংগ্রহ অন্যদিকে প্রকৃতি-প্রেমিকদের আনাগোনা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় প্রান্তিক চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ কৃষকের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করায় কৃষকরা বর্ষা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা একই জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছে। কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়ত কৃষকের সরিষা ক্ষেত দেখে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সরিষা একটি লাভ জনক ফসল। সরিষার ফলন ঘরে তোলার সঙ্গেই আবারও একই জমিতেই কৃষকরা বোরো চাষ করবেন। সরিষা বিক্রি করে কৃষকেরা বোরো আবাদের জন্য স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমেই সরিষার জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষাবাদ এ অঞ্চলে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়াসহ সরিষার ভালো দামের আশায়ও করছেন ওই সব প্রান্তিক চাষিরা।

উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে  তিনি এবছর ৪ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষাবাদ করেছেন। গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরায় আশানুরূপ ফলন হবে বলে মনে করছেন তিনি। ফলন ভাল দেখায় আশা বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন করে সরিষা ঘরে তুলবেন বলে আশা করছেন এই কৃষক।

একই উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের কৃষক শিরু মিয়া ও বকুল মিয়া বলেন, তারা প্রত্যেকেই জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছেন। প্রতি বছরেই জমিগুলোতে সরিষার চাষাবাদ অল্প খরচেই লাভবান হন। বর্ষা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতেই কম খরচে সরিষার আবাদ করে থাকেন। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে তারা ইরি-বোরোর চাষাবাদ খরচ মেটানো সম্ভব হয় বলে জানান চাষিরা। তবে এবছর সরিষার ফলন ভাল দেখায় হাসি ফুটেছে ওই ভাঙ্গুড়ায় শতশত চাষিদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. শারমিন জাহান বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন অঞ্চলে ও মোট ৬৫০০ হেক্টর জমিতে চাষিরা সরিষার চাষাবাদ করেছে। সরিষা চাষাবাদের জন্য ৪৫০০ জন কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের মাঠে মাঠে গিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আশা করছি চাষিরা সরিষা চাষে লাভবান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাঙ্গুড়ায় সরিষা ফুলের সমারোহ

আপডেট সময় : ০২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মেহেদী হাসান, ভাঙ্গুড়া

পৌষের সকালে শিশির ভেজা ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষা ফুলের হলুদ রঙে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্য। সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে দেশের উত্তরের জেলা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ সরিষার মাঠে একদিকে চলছে মধু সংগ্রহ অন্যদিকে প্রকৃতি-প্রেমিকদের আনাগোনা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় প্রান্তিক চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ কৃষকের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করায় কৃষকরা বর্ষা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা একই জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছে। কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়ত কৃষকের সরিষা ক্ষেত দেখে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সরিষা একটি লাভ জনক ফসল। সরিষার ফলন ঘরে তোলার সঙ্গেই আবারও একই জমিতেই কৃষকরা বোরো চাষ করবেন। সরিষা বিক্রি করে কৃষকেরা বোরো আবাদের জন্য স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমেই সরিষার জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষাবাদ এ অঞ্চলে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়াসহ সরিষার ভালো দামের আশায়ও করছেন ওই সব প্রান্তিক চাষিরা।

উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে  তিনি এবছর ৪ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষাবাদ করেছেন। গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরায় আশানুরূপ ফলন হবে বলে মনে করছেন তিনি। ফলন ভাল দেখায় আশা বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন করে সরিষা ঘরে তুলবেন বলে আশা করছেন এই কৃষক।

একই উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের কৃষক শিরু মিয়া ও বকুল মিয়া বলেন, তারা প্রত্যেকেই জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছেন। প্রতি বছরেই জমিগুলোতে সরিষার চাষাবাদ অল্প খরচেই লাভবান হন। বর্ষা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতেই কম খরচে সরিষার আবাদ করে থাকেন। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে তারা ইরি-বোরোর চাষাবাদ খরচ মেটানো সম্ভব হয় বলে জানান চাষিরা। তবে এবছর সরিষার ফলন ভাল দেখায় হাসি ফুটেছে ওই ভাঙ্গুড়ায় শতশত চাষিদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. শারমিন জাহান বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন অঞ্চলে ও মোট ৬৫০০ হেক্টর জমিতে চাষিরা সরিষার চাষাবাদ করেছে। সরিষা চাষাবাদের জন্য ৪৫০০ জন কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের মাঠে মাঠে গিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আশা করছি চাষিরা সরিষা চাষে লাভবান হবে।