বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
ময়মনসিংহ নগরীর কাচিঝুলি মোড়ে আলোচিত সাজিত হত্যা মামলার প্রধান আসামী সিফাতুল্লাহ মন্টিকে হত্যাকান্ডের ৫২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক এলাকা থেকে এই খুনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বশীল চৌকস সেকেন্ড অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল হত্যাকান্ডের পর থেকে বিরতিহীন অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
এ অভিযানে নিদ্রাহীনভাবে কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মতিউর, এএসআই কামরুল, কোতোয়ালী মডেল থানার ২নং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সূত্রধর এবং জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এলআইসি শাখার বিল্লাল বলে জানা গেছে।
গত ২৬ মার্চ বুধবার রাত ১২ টার দিকে নগরীর কাচিঝুলি এলাকায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাজিত নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নগরীর কাচিঝুলি হামিদ উদ্দিন রোডের আজাদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, শফিক মিয়ার ছেলে মন্টু মিয়া ও নিহত সাজিদ মিয়া একই এলাকার বাসিন্দা। তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মন্টু মিয়া সাজিদকে সুপারি কাটার শরতা দিয়ে বুকের মধ্যে আঘাত করে। সাজিত মিয়া গুরুতর আহত হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম খান জানান, ঘাতক পালিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা রোজি বেগম বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা নং ১০০, তাং ২৭/০৩/২০২৫ দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিশ্বজিৎ সুত্রধর গ্রেফতারকৃত সিফাতুল্লাহ মন্টির বরাত দিয়ে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মন্টি দাবি করে সে একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জুনিয়র হয়েও সাজিদ তার সাথে কথা কাটাকাটি, তই তুক্কারী করেছে। এক ফাঁকে মন্টি পাশের দোকান থেকে সুপারি কাটার শরতা দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। এসআই বিশ্বজিৎ আরো বলেন, যদিও মন্টি দাবি করছে সে একাই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে। এই হত্যাকান্ডে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত চলছে।