ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুড়িগ্রামে অটোরিকশা দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো নারীর পাবনা-১ আসনে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক এম এ আজিজ বিস্ময়কর বিদ্যুৎ মানব আয়নাল, খালি হাতে বিদ্যুতের তারে সচলে অভ্যস্ত আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের রাষ্ট্র ও সমাজের কর্ণধার: শিবির সভাপতি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা: নোয়াখালীতে ভুয়া র‍্যাব সদস্য গ্রেফতার উখিয়ায় ১০ ফুট লম্বা বার্মিজ অজগর উদ্ধার: আতঙ্কের পর নিরাপদে অবমুক্তির প্রস্তুতি

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাটপণ্য রপ্তানিতে ভারতের নতুন বিধিনিষেধ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

মনির হোসেন, বেনাপোল

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) আবারও বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

সোমবার ১১আগস্ট জারি করা এক নতুন প্রজ্ঞাপনে ভারত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পাটপণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন থেকে কেবল মুম্বাইয়ের নভসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়েই এসব পণ্য রপ্তানি করা যাবে।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় যেসব পণ্য পড়েছে পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি, পাটের বস্তা বা ব্যাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া উল্লিখিত পণ্যগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই বেনাপোল স্থলপথে যায়। মাত্র ১০ শতাংশ পণ্য সমুদ্রপথে রপ্তানি হয়।

এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এই চারটি পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে হলে সমুদ্রপথে নভসেবা বন্দর ব্যবহার করতে হবে।

ভারতের এই নতুন বিধিনিষেধের কারণে বেনাপোল স্থলপথে রপ্তানির সহজ পথটি কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।
গত কয়েক মাসে ভারত বেশ কয়েক দফায় বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

এর আগে, গত ২৭ জুন ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল সহ সব স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। গত ১৭ মে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, আসবাবসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিতেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

এছাড়া, গত ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ভারতের সিএন্ডএফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, এর আগে, গত ২৭ জুন ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল সহ সব স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। গত ১৭ মে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, আসবাবসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিতেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাটপণ্য রপ্তানিতে ভারতের নতুন বিধিনিষেধ

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

মনির হোসেন, বেনাপোল

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) আবারও বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

সোমবার ১১আগস্ট জারি করা এক নতুন প্রজ্ঞাপনে ভারত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পাটপণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন থেকে কেবল মুম্বাইয়ের নভসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়েই এসব পণ্য রপ্তানি করা যাবে।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় যেসব পণ্য পড়েছে পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি, পাটের বস্তা বা ব্যাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া উল্লিখিত পণ্যগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই বেনাপোল স্থলপথে যায়। মাত্র ১০ শতাংশ পণ্য সমুদ্রপথে রপ্তানি হয়।

এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এই চারটি পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে হলে সমুদ্রপথে নভসেবা বন্দর ব্যবহার করতে হবে।

ভারতের এই নতুন বিধিনিষেধের কারণে বেনাপোল স্থলপথে রপ্তানির সহজ পথটি কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।
গত কয়েক মাসে ভারত বেশ কয়েক দফায় বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

এর আগে, গত ২৭ জুন ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল সহ সব স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। গত ১৭ মে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, আসবাবসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিতেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

এছাড়া, গত ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ভারতের সিএন্ডএফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, এর আগে, গত ২৭ জুন ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল সহ সব স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। গত ১৭ মে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, আসবাবসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিতেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।