জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জামায়াত: ডা. তাহের

- আপডেট সময় : ১১:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৫ বার পড়া হয়েছে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে বিদেশি প্রভাবের মাধ্যমে কোনো বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. তাহের অভিযোগ করেন, সরকারের ঘোষিত জুলাই সনদকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই পূর্ণাঙ্গ মনে করেনি। কেবল একটি দল প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে, বাকি দলগুলো শর্তসাপেক্ষ মতামত দিয়েছে। তার মতে, “ঐক্যমত্য থাকলেও আইনি ভিত্তি না থাকলে এ ঘোষণাপত্রের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সরকার মুখে স্বীকার করলেও বাস্তবায়ন না করলে সেটি অর্থহীন থেকে যাবে।”
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ৫৪ বছরে কখনো প্রকৃত অর্থে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেনি। “আমরা ইলেকশন চাই, সিলেকশন নয়। বিদেশি নকশায় সাজানো কোনো ভোটের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা হলে জনগণ আবারও জীবন ও রক্ত দিয়ে অধিকার আদায় করবে।”
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা বলছেন ক্ষমতায় গেলে সংস্কার করবেন। তাহলে এখন কেন করবেন না? এর মানে তো বোঝাই যাচ্ছে—ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।” তিনি আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক এক জরিপে ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছে, অথচ রাজনৈতিক মহলে কেউ কেউ তা উপেক্ষা করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাহের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আন্তঃদলীয় সংলাপ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। “দেশকে আরেকটি এক-এগারোর দিকে ঠেলে দেবেন না। আপনি নিজেই মালয়েশিয়ায় গিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—এটি আপনার মৌলিক দায়িত্ব।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সরকারের ঘোষিত জুলাই সনদ অপূর্ণাঙ্গ। এখানে মতিউর রহমান নিজামী, দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং প্রবাসীদের অবদান অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় জনগণ এটি মেনে নেবে না।
এ সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “জনগণের মতের বিরুদ্ধে কোনো নির্বাচন হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল মোড়, মার্কাজ মসজিদ হয়ে মৎস্য ভবন পর্যন্ত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।