ঢাকা হাইজিং ডিভিশন-১ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৯৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ছাত্রলীগ নেতা খ্যাত, ঢাকা হাইজিং ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের সাথে মিলে ব্যাপক অনিয়ম ও হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, জোয়াদার তাবেদুন নবী ২০১৭ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগে পদায়ন পায়। সেই সুবাদে ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ সেলিমর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। তার নিজ জেলা মাগুরা হওয়ায় ও সাইফুজ্জামান শিখর তার অত্মীয় হওয়ায় গোটা গণপূর্ত অধিদপ্তর দাপিয়ে বেড়ান। গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা ভাগিয়ে নেন। শেখ সোহেল সাথে সখ্যতার দাপটে তিনি গোপালগঞ্জ বাসীদের কাজে দেওয়ার মিশনে নেমে পড়েন। তাদেরকে কাজ দিয়ে পূর্নবাসন করায় কাজের গুনগত মান খুব খারাপ হচ্ছে অন্যদিকে নিদিষ্ট সময় কাজ শেষ না হওয়ায় এ্যালোটিগন নিদিষ্ট সময় টাকার পরিশোধ করার পরও সময় মত কাজ বুঝে পাবেন কিনা সে বিয়য়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
আরও জানা যায়, তিনি ফ্যাসিবাদের আরেক দোসর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযের সাবেক সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন সাথে যোগসাজশ করে ছয় জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কে মিরপুর হাউজিং এ প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশের পরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ও বিষয়টি তিনি মোটা টাকার এবং রাজনৈতিক তথাকথিক যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল দিয়ে ধামাচাপা দিয়েছেন। জোয়াদার তাবেদুন নবী বাংলাদেশ অন্ধ কল্যান সমিতির সেবার প্লটকে বাণিজ্যিক বানিয়ে মিরপুর কেন্দ্রীক আওয়ামী ভূমি দস্যুদের সাথে শত কোটি টাকার ভাগবাটোরায়া করে নেন।
জোয়াদার তাবেদুন নবী হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন ঢাকা শহরে বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, মাগুরায় ২০ একর জমি, মাগুরায় পাচ তলা বাড়ি ও একাধিক ব্যাংকে নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা জমা রয়েছে। ফ্যাসিবাদ সরকার পতন হওয়ার পর তিন দিনি পর এই দুর্নীতিবাজ জোয়াদার তাবেদুন নবী গণপূর্ত অধিদপ্তওের ওমসডি করা হয়। এ বিষয়ে জোয়াদার তাবেদুন নবী বলেন, এ সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।