শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কারের নামে ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নিবে না: আব্দুল আউয়াল মিন্টু পটুয়াখালী এলএ শাখায় সার্ভেয়ার ও কানুনগো কে ঘুষ না দিলে মিলছে না ভূমি ক্ষতিপূরণের টাকা ওসিকে শুভেচ্ছা জানাতে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা ময়মনসিংহে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধ করণ সমাবেশ সৌদি আরবে ভবন থেকে পড়ে ভাঙ্গার যুবক নিহত, স্বজন-গ্রামবাসীর মধ্যে চলছে শোকের মাতম ত্রিশালে সন্ত্রাসী ফারুক গ্রেফতার ত্রিশাল থানা পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৫ গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের মশালমিছিল, বিএনপির বিক্ষোভ ভাঙ্গায় নবাগত ওসির সঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ ইউএনও রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পটুয়াখালী এলএ শাখায় সার্ভেয়ার ও কানুনগো কে ঘুষ না দিলে মিলছে না ভূমি ক্ষতিপূরণের টাকা

স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কানুনগো ও সার্ভেয়ার এলএ শাখার কয়েকজন দুর্নীতি কারী কর্মকর্তা, পায়রাপোট ও সিনারনিবাস কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কিছু মৌজায় কলাপাড়া ইটবাড়িয়া চান্দু পাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের জমির ফাইল আটকে দিয়ে ৯/১০ শতাংশ টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে,দুর্নীতি দমন, চেয়ারম্যান, ভূমি সংস্কার বোড,চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব সহ বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এমনকি জেলা প্রশাসক কে ফোন করে উদাত্তন কর্মকর্তা বলার পরেও আসাদুর রহমান সার্ভেয়ার সহ সকলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে কথা বলা হয় বলা হয়, আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পাঁচকোরালিয়া ভিলেজে চার শতাধিক জমি ও পায়রা বন্দর অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ওই জমির টাকা পাওয়ার জন্য এলএ শাখার কানুনগো ও সার্ভেয়াররা ৯/১০ শতাংশ ঘুষ দাবি করে এবং ঘুষ না দিলে সার্ভেয়ার ও কানুনগো ভিকটিমদের ফাইল পরের দিন আটকে রাখে।

তবে সার্ভেয়ারদের ঘুষ দিয়ে জমির জাল দলিল জমা দিলেও অনেকে টাকা পান। এ ছাড়া, কয়েকদিন আগে পাঁচকোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন মৃধা একই বিষয়ে সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন, নাজমুল, আসাদুর রহমান অন্যদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যাইহোক, অনেক ভুক্তভোগী দাবি করেছেন যে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা জরিপকারীদের ঘুষ না দিয়ে টাকা তুলতে সক্ষম হওয়া উচিত।

পটুয়াখালী ডিসি অফিসের এল/এ শাখায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পটুয়াখালী ডিসি অফিসের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অনেক এল/এ কানুনগো ও সার্ভেয়ারের নামে বিভিন্ন অনিয়ম-সম্পর্ক, দুর্নীতি, জ্ঞাত বহিরাগত সম্পদ ও ঘুষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এখানকার প্রতিটি কানুনগো ও জরিপকারী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিচিত বহিরাগত সম্পদ ও সম্পত্তি অর্জন করে দুর্নীতি ও ঘুষ খেয়ে কোটিপতি হয়েছেন। কানুনগো ও জরিপকারীর নাম যথাক্রমে জানা গেছে, কানুনগো ফজলুর রহমান এল/এ-তে কর্মরত ছিলেন।

এখন S/A শাখায় উন্নীত হয়েছে কিন্তু এখনও L/A শাখায় কর্মরত আছেন, কানুনগো ইব্রাহিম L/A শাখা, কানুনগো শহিদুল L/A শাখা, সার্ভেয়ার আসাদুর রহমান আসাদ L/A শাখা, সার্ভেয়ার আবুল কালাম L/A শাখা, সার্ভেয়ার মুজিবর L/A শাখা, সার্ভেয়ার নাজমুল L/A শাখা, সার্ভেয়ার নাজমুল এল/এ শাখা, এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। সার্ভেয়ার আসাদুর রহমান আসাদ সাহেব, 12% থেকে 15% এর নিচে কোন কাজ নেন না। ভুক্তভোগীরা বরিশালের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি। আসাদুর রহমান সার্ভেয়ার তার আসল পদায়ন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হলেও তিনি ১১ বছর ধরে সংযুক্তিতে পটুয়াখালীতে কর্মরত আছেন। খুলনা বিভাগে জন্য তিনি নিজে জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীর কাছে আবেদন করন। কিন্তুক বর্তমান জেলা প্রশাসক এর খুব নিকটতম বিপ্লব দেবনাথ তোশিলদার এর মাধ্যমে ব্যাপক টাকা ঘুষ দিয়ে মির্জাগঞ্জ থেকে আবার ও এল শাখায় সংযুক্তি নেওয়া হয়। বর্তমানে আসাদুর রহমান সার্ভেয়ারের নিজের স্ত্রীর নামে জমি অধিগ্রহণের পর তার স্ত্রীর নামে নেওয়া হয়। একজন ব্যক্তির নাম অজ্ঞাত কারণে তা উপস্থাপন করা হয়নি, বরং প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণকারী একজন সার্ভেয়ারকে জেলা প্রশাসকের গুরুত্বপূর্ণ এলএ শাখায় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে সার্ভেয়ার নাজমুল ও সার্ভেয়ার কলাম জানা যায়, তারা দুই সার্ভেয়ার, যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল ও জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীর নামে একাধিক পরিবারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যা বিভাগীয় তদন্তাধীন রয়েছে। দুর্নীতির আর এক নাম সার্ভেয়ার আসাদুর রহমান। সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন, তিনি এখন পটুয়াখালী সদর ভূমি অফিসে কর্মরত। কিন্তু তাকে প্রতিদিনই জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় তিনি যখন পটুয়াখালী এল এ শাখায় ছিলেন তখন থাকালী (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার থেকে প্রতিটি ফাইল থেকে সরাসরি 9/10% ঘুষ নিতেন, সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন এখন কোটি টাকার মালিক।

তারা এল এ শাখার কাননগো মোঃ ইব্রাহিমকে টাকা দেওয়া হয়, কাগজের দরকার নেই, তারা ঘুরে ঘুরে বলে যে, প্রতিটি ফাইলে ৫% টাকা না দিলে, এই কাগজটা তাদের নেই, ওই কাগজটা দিনের পর দিন দরকার। ভুক্তভোগীদের দাবি অবিলম্বে তাদের বদলি করে ভালো লোক নিয়োগ দেওয়া হোক এবং বর্তমান সাধারণ মানুষের প্রতিদিন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আপত্তি নিষপত্তি করতে সকাল এবং সন্ধ্যা দাঁড়া দাঁড়া ঘুরতে হয় যাতে ভুক্তভোগীরা খুবই শীঘ্রই এই এই দুর্নীতিবাজ সার্ভার ও কানুনগর হাত থেকে রক্ষার দাবি জানাই ভুক্তভোগী। সার্ভেয়ার আসাদুর রহমানকে কয়েকবার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিলে ফোনের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । দৈনিক প্রলয়