সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ
রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার বউবাজার এলাকার তরুণী চাকুরীর আশায় ঘর ছেড়ে বাহির হলে দালাল চক্রের চাকুরীর প্রলোভনের খপ্পরে পড়ে ভয়ংকর প্রতারণার শিকার হয়েছে।
ময়মনসিংহের নিষিদ্ধ পল্লীতে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করা পুলিশের ছায়াতলে থাকা কোটিপতি প্রভাবশালী সর্দারনী লাভলী ওরফে ফেন্সী লাভলীর নিকট মাদক ও নারী দেহ ব্যবসার জন্য আমদানী করা (মাল) পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আনা নিরাপদ অভয়াশ্রম মনে করে প্রতারক দালাল চক্র। বিভিন্ন জেলার কিশোরী তরুণীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে লাভলীর সাম্রাজ্যে নিয়ে আসে দরদাম সাব্যস্ত করে প্রথম ক্রেতা হিসাবে নগরীতে তার একাধিক বাড়ীতে ঐ সকল কিশোরী তরুণীদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতে পালিত দালাল ভারুয়া দিয়ে ট্রায়াল দেয় বলে জানা গেছে। কথামতো কাজ না করলে চলে চরম অত্যাচার অবর্ণনীয় নির্যাতন, এসব কারণে ভীতসন্ত্রস্থ হয় মেয়েরা আনুগত্য শিকার করে জীবন পদ্ধতি ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়। অসহায় এই বিক্রয় হওয়া মেয়েরা যদি কারো সহায়তায় নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে পোষণ করলেও, ভয় আতংক উৎকণ্ঠা মনে বাসা বাঁধে, তাই করো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে রাজি হয় না। এমন ঘটনার বর্নণা উদ্ধার হওয়া অহরহ মেয়েদের কাছে শোনা যায়।
সর্দারনী লাভলীর অবৈধ মদ প্রকাশ্যে তার লোকজন দিয়ে বিক্রি করে। সে নিজে ফেন্সিডিলে আসক্ত। প্রতিদিন ৫/৬টি ফেন্সিডিল লাভলীর সেবন করতে হয়। নিষিদ্ধ পল্লীতে অবৈধ ভাবে সে তার লোকজন দিয়ে প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকার ২০% লভ্যাংশ্য হাড়ে সুদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। শহরে একাধিক স্থানে জমি ও বাসা বাড়ী রয়েছে। বেপরোয়া সর্দারনী লাভলী আপরাধ সাম্রাজ্যে থেকেও থানার সামনে এসে করছে দম্ভোক্তি। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ করছে গড়িমসি এমন আলোচনায় হতবাক নগরবাসী।
পতিতা সর্দারনী দালাল আর পুলিশের মাঝে লেনদেন, উঠবস সম্পর্ক দেখে ভুক্তভোগী নারী বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়, এমনটাই মনে করে ভিকটিম এরপর কোনো অভিযোগ দিলে ন্যায় বিচার তো দূরের কথা অভিযোগ দেওয়ার কারণে নানাভাবে ঝামেলা বাঁধিয়ে শেষ রক্ষা পাওয়ার সুযোগ টুকু হাতছাড়া করতে চায় না কেউ। এজন্যেই অধিকাংশ তরুণী দেহ ব্যবসার জন্য বিক্রয় হওয়ার পর নির্যাতনের শিকার হয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হওয়ার ঘটনা চেপে যায়। প্রকাশ্যে বলতে পারার সাহস শক্তি হাড়িয়ে ফেলার কারণে অভিযোগ করিতে অস্বীকার করায় মামলা হয় না। জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা এই তরুণীকে বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার বউবাজার এলাকার মোছাঃ উমো আক্তার ছালমা (১৮) চাকুরির আশায় ঘর ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত ভয়ংকর প্রতারণার শিকার হন। দালাল চক্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কুখ্যাত সর্দারনী লাভলীর হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত দিন আগে এক দালাল চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ছালমাকে ময়মনসিংহে নিয়ে আসে। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি স্বাভাবিক মনে করলেও পরে তার কোনো খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর জানা যায়, ছালমাকে সরদারনি লাভলীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি ও সাংবাদিক সাদেকুর রহমান সাদেক এবং সাংবাদিক মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক দ্রুত কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সরদারনি লাভলীর আস্তানা থেকে ঐ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের সময় সর্দারনী লাভলী দ্রুত সটকে পড়ে।
উদ্ধারের পর ছালমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা দ্রুত ময়মনসিংহ এসে মেয়েটিকে নিজেদের জিম্যায় নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। এ ঘটনায় সরদারনি লাভলীসহ জড়িত দালাল চক্রের বির প্রিন্ট করুন ৬ সেভ করুন য়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সদারনা লাভলী আপরাধ সাম্রাজ্যে থেকেও থানার সামনে এসে করছে দম্ভোক্তি।