প্রলয় ডেস্ক
- ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ / ২২ বার পঠিত
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল ক্যাম্পাস থেকে শতাধিক কার্টুন ভর্তি ২২ প্রকারের ঔষধ ও এমএসআর পণ্য জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। রোববার দুপুরে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ট্রাক থেকে ঔষধগুলো নামানোর সময় জব্দ করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্রয়কৃত ঔষধগুলো শুধুমাত্র কাগজে কলমে বুঝে নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল। এরপর গত ২৭ জানুয়ারি পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোববার ঔষধ ও এমএসআর পণ্যগুলো স্টোররুমে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন খবর পেয়ে দুদক ঔষধ ও এমএসআর পণ্যগুলো জব্দ করে।
দুদক এর পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ঔষধ ও এমএসআর পণ্য সরবরাহের জন্য সামসুল আরেফিন নামে এক ঠিকাদারের মালিকানাধীন সাউথ বাংলা কর্পোরেশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে প্রায় ২ কোটি টাকার কোন পণ্য সরবরাহ না করলেও, কাগজে সেগুলোকে সরবরাহ করা হয়েছে দেখিয়ে ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করা হয়। দুদক হাসপাতালটিতে গত ২৭ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোববার কিছু ঔষধ ও এমএসআর পণ্য স্টোররুমে ঢুকানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ঔষধগুলো জব্দ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রাখা হয়েছে বলে জানান এ দুদক কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. মিজানুর রহমান দায় চাপিয়ে দেন আরএমও ও স্টোর কিপারের উপর । তিনি বলেন, এ আরএমও সাহেব বলতে পারেন। তার স্বাক্ষর ছাড়া কোন ঔষধ এন্ট্রি হয়না ও বিতরণ হয়না। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আরএমও মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান কিছু ঔষধ সরবরাহ না করার পরও ততকালীন এমপি ও সাবেক মন্ত্রী আমাদের চাপ দিয়ে বিল দিতে বাধ্য করেন। তখন আমাদের কিছুই করার ছিলো না।